চিত্রনায়িকা পরীমনির ঘটনায় একের পর এক অনেক ভিআইপির নাম বেরিয়ে আসছে। এরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

রোববার দুপুরে সিআইডির সদর দফতরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।

তিনি আরো বলেন, প্রধান ছয় আসামির বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে। কিছু ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। ব্ল্যাকমেইলের কিছু কিছু প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, গ্রেফতাররাও এটি স্বীকার করেছে।

তিনি আরো বলেন, বড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা আসছে। তাদের নাম যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। পরীমনি কাণ্ডে যে যতবড় প্রভাবশালী হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

চিত্রনায়িকা পরীমণিসহ ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এবং প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ আমাদের হেফাজতে রয়েছে। এছাড়া হেলেনা জাহাঙ্গীর, মিশু হাসান এখন আর আমাদের হেফাজতে নেই। তারা অন্য মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে রিমান্ডে আছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা আসামিদের শনাক্ত করতে সক্ষম হব।

তিনি বলেন, পরীমনিসহ অন্যদের মামলার তদন্তভার আমাদের কাছে এসেছে। মামলাগুলোর তদন্ত কাজ শেষ করতে আমাদের কিছুটা সময় লাগবে।

গত বুধবার রাতে বনানীর বাসায় পৃথক অভিযান চালিয়ে পরীমনি ও রাজকে আটক করে র‍্যাব। অভিযানকালে তাদের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। 

এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরীমনি ও তার সহযোগী দীপু এবং প্রযোজক রাজ ও তার সহযোগী সবুজ আলীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে র‌্যাব। মামলাটি এরই মধ্যে সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জাগরণ/এমইউ