ঈদুল ফিতরের জামাতের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ। ঈদের দিন এখানে সকাল সাড়ে ৮টায় একটিই জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
তবে বড় কোনো দুর্যোগ হলে সকাল ৯টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার প্রধান ঈদ জামাতের প্রস্তুতি ঘুরে দেখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের এ ময়দানের প্যান্ডেলে এবার একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি (নারী-পুরুষ) সালাত আদায় করতে পারবেন। মূল প্যান্ডেলের বাইরে চারপাশের রাস্তায়ও যাতে মুসল্লিরা জামাতে শরিক হতে পারেন, সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। চারপাশের রাস্তাগুলোতে আরও অর্ধলক্ষাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
মুসল্লিদের সুবিধার্থে ওজু করার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা, ভ্রাম্যমাণ টয়লেট ও সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে জাতীয় ঈদগাহে। গরম থেকে মুসল্লিদের মুক্তি দিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক বৈদ্যুতিক পাখারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য স্থাপন করা হয়েছে নির্দিষ্ট কেন্দ্র। এখানে সব ঈদের নামাজে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, মেয়র, কূটনৈতিক ব্যক্তিত্ব, দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ নগরবাসী অংশগ্রহণ করেন।
ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বসহ মুসল্লিরা যাতে নির্বিঘ্নে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন, সে জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওযুখানাসহ নারীদের জন্য পৃথক প্রবেশপথ রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত খাবার পানির ব্যবস্থাও থাকবে। ঝড় বৃষ্টি হলে যাতে পানি জমতে না পারে বা মুসল্লিদের যাতে সমস্যা না হয় এ জন্য মূল প্যান্ডেলের পুরোটাতে ত্রিপল টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে।
গ্যাস লাইটার বা দিয়াশলাই নিয়ে ঈদ জামাতে অংশ না নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে এবং তীব্র তাপদাহ চলছে। সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন-সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। দয়া করে কেউ দিয়াশলাই অথবা লাইটারজাতীয় কোনও বস্তু সঙ্গে আনবেন না।
জাগরণ/রাজধানী/এসএসকে