মৌসুমের শুরুতেই রেকর্ড সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ৬ মাসে ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬১ জন। ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নির্মুলে এবার শুরু করতে যাচ্ছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ৬ মাসেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ হাজার। মৃত্যুর হারও অন্যান্যবারের চেয়ে বেশি। ঢাকা উত্তরে ২৭টি এবং ঢাকা দক্ষিণে ২৮টি ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য আমলে নিয়ে চলছে কার্যক্রম শুরু করেছে দুই সিটি করপোরেশন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে তৎপরতা বাড়ানোর কথা বলছেন দক্ষিণ ঢাকার মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার সকালে নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে রাজধানীর হাতিরঝিলে যান তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গুর বাহক এডিসের লার্ভার তথ্য জানালে, ১৫ মিনিটের মধ্যেই মশা নিধন কর্মীরা সেখানে পৌঁছে যাবেন।
শেখ ফজলে নর তাপস বলেন, ‘আশেপাশে কোথাও যদি মনে করে যে পানি জমে আছে, সেখানে লার্ভা পাওয়া যেতে পারে। নির্মানাধীন ভবন আছে, কোথাও আবর্জনা পড়ে আছে বা পরিত্যক্ত জমি যেখানে লার্ভা পাওয়া যেতে পারে এই তথ্যটা আমাদের দেয়ার সাথে সাথেই ১৫ মিনিটের মধ্যে আমরা সেখানে উপস্থিত হয়ে পানির উৎস, আধার নষ্ট করবো। আমরা লার্ভিসাইটিং করবো। ফগিং করে আমরা সেটা মশামুক্ত করবো।’
এডিসের ভয়াবহ রূপ ঠেকাতে মাস ব্যাপী চিরুনি অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। ছাদ বাগানে এডিস মশা জন্মাচ্ছে কি না তা জানতে ড্রোন দিয়ে শুরু হয়েছে জরিপের কাজ।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, ‘এই ক্যাশ প্রোগ্রামে আমরা আমাদের সব কর্মী, ডিএনসিসির সব বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারি আমরা সেখানে সম্পৃক্ত করবো। গার্লস গাইড, বিএনসিসি স্কাউটসকে আমরা সেখানে অন্তর্ভূক্ত করবো। অতিদ্রুত এডিস নিয়ন্ত্রণে এনে একটি ডেঙ্গুমুক্ত নগরী আমরা গড়তে চাই।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপ বলছে, রাজধানীর ৪৩ শতাংশ বহুতল ভবনেই পাওয়া গেছে এডিসের লার্ভা। ফলে এবার ডেঙ্গু মোকাবিলা বেশি চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করছেন কীটতত্ত্ববিদরা।
জাগরণ/স্বাস্থ্য/ডেঙ্গু/এসএসকে