সাভারে চাকরির প্রলোভনে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঊনত্রিশ দিন পর থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী এক গৃহকর্মী। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত এক গার্মেন্টকর্মীসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও ওই ধর্ষিতাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) গভীররাতে সাভারের বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে মডেল থানা পুলিশ। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় থানায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়।
গ্রেফতরা ব্যক্তিরা হলেন- রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট থানার ট্যাংগাপাড়া গ্রামের আজাহার সরদারের ছেলে মিরাজ সরদার (৩২), কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানার পীর মাহমুদ গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে মোক্তার হোসেন (২৯), গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার শান্তিরাম গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে মাহবুব হক (৪২), বরিশাল জেলার অগৈলঝড়া থানার পতিহার গ্রামের আক্কাস আলী গোমস্তার ছেলে মতি গোমস্তা (৫৫) ও কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার খামারটগরপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২৪)। তারা সাভারের কাতলাপুরসহ আশপাশের এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
অপরদিকে, নীলফামারী জেলার ভুক্তভোগী ওই নারী সাভার পৌরসভার আনন্দপুর এলাকার ভাড়া বাসায় থেকে গৃহকর্মীর কাজ করতেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ মার্চ রাতে সাভারের কাতলাপুর এলাকার জেকে গার্মেন্টে চাকরি দেওয়ার কথা বলে গৃহকর্মী এক নারীকে নিকটস্থ রাজাবাড়ী এলাকার আবুল খায়েরের বাড়ির পঞ্চম তলায় ডেকে নেয় মিরাজ সরদার। পরে তাকে একটি কক্ষে আটকে মিরাজ সরদার ও তার সঙ্গীয় মোক্তার হোসেন, মাহবুব, মতিসহ চার জন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় আরেও দুই জন দরজার বাইরে পাহারা দিতে থাকে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় ধর্ষিতাকে গুম করার ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে।
সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এএফএম সায়েদ জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতে পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর আটকদের মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ধর্ষিতাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
এসসি/