• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১, ২০১৯, ০৫:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১, ২০১৯, ০৫:৫৮ পিএম

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ, চিকিৎসক আটক

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ, চিকিৎসক আটক

নরসিংদীতে বেসরকারি হাসপাতালে সেবিকার (নার্স) চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক চিকিৎসক (এমবিবিএস) কর্তৃক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসক আশরাফ উদ্দিন জুলফিকারকে (৫০) আটক করেছে।

অভিযুক্ত চিকিৎসক আশরাফ উদ্দিন জুলফিকার গাজীপুর জেলার হোতাপাড়ার মণিপুরের সিরাজুল ইসলামের ছেলে ও নরসিংদীর শীলমান্দি এলাকার সোনিয়া নিটওয়্যার নামের একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আবাসিক মেডিকেল অফিসার।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সৈয়দুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা জানান, অভিযুক্ত চিকিৎসক নরসিংদীর শীলমান্দিতে ভাড়া বাসায় থেকে একটি সোয়েটার কারখানায় মেডিকেল অফিসার হিসেবে কাজ করছেন। এর পাশাপাশি ছুটির দিনে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে নিউলাইফ নামে একটি চেম্বারে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন।

এই সুবাদে ওই চেম্বারে লিভারের রোগী স্থানীয় ওই কিশোরীর সঙ্গে পরিচয় ঘটে চিকিৎসক আশরাফ উদ্দিনের। পরে কিশোরীর লিভারের উন্নত চিকিৎসার পাশাপাশি একটি বেসরকারি হাসপাতালে সেবিকার চাকরি দেওয়ার জন্য নার্সিং কোর্স করাতে তাকে গত ৩০ এপ্রিল তার নরসিংদীর শীলমান্দিস্থ সিরাজুল ইসলামের মালিকানাধীন ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন ওই চিকিৎসক।

এরপর চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে গত ৪ মে রাত ১১টায় ওই বাসায় কিশোরীকে জোরপূর্বক প্রথমবার ধর্ষণ করেন। এরপর ওই বাসায় চিকিৎসক আশরাফ কর্তৃক একাধিকবার ধর্ষিত হয় ওই কিশোরী। ধর্ষণের এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য কিশোরীকে হুমকিও দেন চিকিৎসক আশরাফ।

শুক্রবার (৩১ মে) স্থানীয়রা কিশোরীকে নির্যাতনের ঘটনাটি টের পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত চিকিৎসককে আটক করে। পরে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। শনিবার (১ জুন) দুপুরে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নির্যাতিত কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক আশরাফ উদ্দিন জুলফিকাকে আটকের পর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এনআই