• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২২, ২০১৯, ০১:১৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২২, ২০১৯, ০১:৪০ পিএম

হবিগঞ্জ পৌরসভা উপ-নির্বাচন : শেষ প্রচারনায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

হবিগঞ্জ পৌরসভা উপ-নির্বাচন : শেষ প্রচারনায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচন আগামী ২৪ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শেষ মুহুর্তের  প্রচার-প্রচারনা এখন তুঙ্গে। পৌরসভার প্রতিটি পাড়া মহল্লাসহ সর্বত্র চলছে গণসংযোগ। শেষ মুহুর্তে ভোটারদের কাছে টানতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন প্রার্থী ও সমর্থকরা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রচারনা। আর ভোটারদের দিচ্ছেন নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি ফুলঝুরি। শনিবার (২২ জুন) রাতেই শেষ হচ্ছে আনুষ্ঠানিক প্রচারনা।  

জানা যায়, হবিগঞ্জ পৌরসভার উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ৪ জনই আওয়ামী লীগ নেতা। অন্যজন বিএনপি নেতা। তারা হলেন- হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান (নৌকা), জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বতন্ত্র (আ’লীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী, মো. মর্তুজ আলী (চামুচ), জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি স্বতন্ত্র (আ’লীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী সৈয়দ কামরুল হাসান (জগ), পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বতন্ত্র (আ’লীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী এডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু (নারকেল গাছ) ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম. ইসলাম তরফদার তনু (মোবাইল) প্রতীক নিয়ে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজানকে বিজয়ী করতে দলীয় বেশীর ভাগ নেতাকর্মীরা পাশে নেই। তারা বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। দলের মনোনীত প্রার্থী রেখে বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে নেতাদের অবস্থান নেয়ায় সাধারণ কর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে তার নিজস্ব বিশাল কর্মীবাহিনী, জেলা ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও যুবলীগের একটি অংশ তার পক্ষে কাজ করছে। এছাড়াও তার একদল মহিলাকর্মীর সুশৃংখল প্রচারনা পৌরবাসীর নজর কেড়েছে। তারা তাদের প্রার্থীর ব্যক্তি ক্লিন- ইমেজ, সততা, নিষ্টা ও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরছেন ভোটারদের কাছে।  

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বতন্ত্র (আ’লীগ বিদ্রোহী) মো. মতুর্জ আলী (চামুচ) প্রতীক নিয়ে ভোট যুদ্ধে রয়েছেন। আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী নিয়ে তিনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। পরিবর্তনের অঙ্গীকার দিয়ে ভোটারদের মন জয় করা চেষ্টা চালাচ্ছেন। 

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি স্বতন্ত্র (আ’লীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী  সৈয়দ কামরুল হাসান (জগ) প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন। তার সাথে মাঠে রযেছে জেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। অন্যান্য উপজেলা থেকেও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা এসে প্রচারনায় অংশ গ্রহন করছে। তার পরিচ্ছন্ন রাজনীতি ইতিহাস তুলে ধরে ভোটারের মন জয় করার চেষ্টা করছে নেতাকর্মীরা। 

পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বতন্ত্র (আ’লীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী এডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু (নারকেল গাছ) প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে লড়ছেন। পৌর আওয়ামী লীগ, জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা তার পক্ষে দিনরাত মাঠে কাজ করছে। এছাড়াও খোয়াই খিয়েটারের সভাপতি হওয়ায় নাট্যকর্মীরা তার পক্ষে মাঠে রয়েছে। মাঠে গুঞ্জন রয়েছে দলীয় প্রার্থী হারাতেই প্রভাবশালী মহল তাকে প্রার্থী করেছে। 

হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম. ইসলাম তরফদার তনু (মোবাইল) প্রতীক নিয়ে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। শেষ মুহুর্তে বিএনপির সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে সমর্থন দেয়ায় নিবার্চনী হিসাব পাল্টে যেতে পারে। যেহেতু পৌরসভার বিএনপির বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। 

হবিগঞ্জ পৌরসভায় রয়েছে ৯টি ওয়ার্ড। এখানে মোট ভোটার রয়েছেন ৪৭,৮২০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩,৮৩৮ ও মহিলা ভোটার রয়েছেন ২৩৯৮২ জন। আগামী ২৪ জুন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন। হবিগঞ্জে এবারই প্রথম ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। তাই এভিএম-এ ভোট দিতে ভোটাররা আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। 

উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে গত ২৮ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র জি কে গউছ। এতে শূন্য হয়ে পড়ে মেয়র পদটি। শূন্য পদে আগামী ২৪ জুন উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

কেএসটি