
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশের সব থানা থেকে রাজাকারের তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। শিগগিরই সম্পূর্ণ অবিকৃত অবস্থায় সেই তালিকা সরকার প্রকাশ করবে।
শুক্রবার (২৮ জুন) পাবনার আটঘরিয়ায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়ায় আদালতের মাধ্যমে যেসব যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে, তারা দেশের প্রচলিত আইনেই অপরাধী প্রমাণিত হয়েছে। আদালতের রায়ের বিরোধিতা করে, যারা যুদ্ধাপরাধীদের নির্দোষ দাবি করে তারা দেশের সংবিধানকে অস্বীকার করে। তাদের বিষয়ে সরকার সজাগ রয়েছে।
পাবনা জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (অ্যাটকো) সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোশারফ হোসেন, ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান নুরজ্জামান বিশ্বাস, আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম, আটঘরিয়া পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন, বেড়া পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন, আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকরাম আলী।
এ সময় মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। সারা দেশে সকল মুক্তিযোদ্ধার কবর একই ডিজাইনে বাঁধাই করে দেওয়া হবে। বাজেট প্রস্তাবনায় মাসিক ১২ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার ঘোষণা হলেও তা আরো বাড়বে। দুই ঈদ, পহেলা বৈশাখ ছাড়াও স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ বোনাস দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের দাফনে সরকার প্রত্যেককে ১৪ হাজার টাকা করে প্রদান করবে, যা তাদের গার্ড অব অনারের পূর্বেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
এর আগে মন্ত্রী পাবনার আটঘরিয়ায় ১ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৪৮৫ টাকা ব্যয়ে নির্মিত তিনতলাবিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন করেন।
এনআই