চট্টগ্রামের লালখান বাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছেন অন্তত ৪ জন। লালখান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলালের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে নগরীর লালখান বাজার এলাকার বাঘঘোনা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো মনির সোহেল, ইমন ও সুমন।

জানা গেছে, শুক্রবার (২৮ জুন) গভীর রাতে মাসুম ও বেলাল গ্রুপের সদস্যদের সাথে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় বেলাল গ্রুপের তিনজনের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। এতে সাইদুল নামের একজনকে ছুরিকাঘাত করে মাসুম গ্রুপের সদস্যরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার মধ্যরাতে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে লালখান বাজার মোড়ে কর্নার হোটেলের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে বেলালের অনুসারীরা। দলবদ্ধ হয়ে মানববন্ধনে আসার সময় তাদের ওপর ইটের টুকরো নিক্ষেপ করে মাসুম গ্রুপের সদস্যরা। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দও শোনা যায়। তখন মানববন্ধন ভণ্ডুল হয়ে যায়। দুই গ্রুপ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে।

ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পুলিশ লাঠিচার্জের একপর্যায়ে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে দুই পক্ষ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। প্রায় ১৫ মিনিট পর তারা আবারও সংঘবদ্ধ হয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু করলে পুলিশ মাসুমের অনুসারীদের লাঠিচার্জ করে বাঘঘোনার দিকে নিয়ে যায়।

এরপর বেলালের অনুসারীরা দিদারুল আলম মাসুমের ব্যক্তিগত অফিসের সামনে জড়ো হয়ে ইট-পাথর নিক্ষেপ করে। মাসুমের অফিসের সামনে রাখা মোটরসাইকেলও তারা ভাঙচুর করেছে বলে জানা গেছে। 

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে লক্ষ্য করে ইটের টুকরা নিক্ষেপ করেছে। উভয় পক্ষে শতাধিক তরুণ-যুবক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ায় তাদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আমাদের কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়তে হয়েছে। গুলির স্প্লিন্টারবিদ্ধ হয়েছেন দুজন। এর মধ্যে একজন রিকশাচালক।

চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক হামিদুর রহমান জানান, লালখান বাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এনআই