নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নুর বানু (৬০) নামের এক বিড়ি বানানোর কারিগরকে করাত দিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। রোববার (৩০ জুন) দুপুরে উপজেলার গন্ধর্বপুর তালতলা এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত নুর বানুর পরিবারের দাবি, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই প্রতিপক্ষের লোকজন এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত নুর বানু গন্ধর্বপুর এলাকার মৃত আব্দুল রাজ্জাকের স্ত্রী।
আটককৃতরা হলো নূর বানুর বাড়ির ভাড়াটিয়া ও সিটি অয়েল মিলের শ্রমিক সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর থানার বুরজোবালা এলাকার বাবু পরামানিকের ছেলে আব্দুল বারেক, নাবাবিলা এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে আল-মামুন, ফজর আলীর ছেলে হোসেন আলী, নিহতের প্রতিবেশী গন্ধর্বপুর তালতলা এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর ও আহসান উল্লাহর ছেলে আলামিন।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, গন্ধর্বপুর এলাকার নিজ বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে বিড়িশ্রমিক নুর বানুর গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। দুপুরের দিকে কে বা কারা করাত দিয়ে নুর বানুর গলা কেটে তাকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সন্দেহজনকভাবে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান ওসি।
নিহত নুর বানুর ছেলে ইলিয়াছ মিয়া জানান, তিনি মুড়াপাড়া আইডিয়াল কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। মায়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে বাড়িতে যান। হত্যাকাণ্ডের সময় বাড়িতে ছিল আটককৃত ভাড়াটিয়া আব্দুল বারেক, আল-মামুন ও হোসেন আলী। তাদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। এছাড়া আটককৃত জাহাঙ্গীরদের সাথে তার মা নুর বানুর ১ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন তার মা নুর বানুকে জবাই করে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন।
এনআই