• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০১৯, ০২:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১, ২০১৯, ০৩:০৬ পিএম

ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনার ট্রেনে গুলিবর্ষণের মামলার রায় বুধবার

ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনার ট্রেনে গুলিবর্ষণের মামলার রায় বুধবার

পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলা-গুলিবর্ষণের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আগামী বুধবার (৩ জুলাই) রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এ জেলহাজতে থাকা বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের আইনজীবীরা তাদের যুক্তি তুলে ধরেন। উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক রোস্তম আলী আগামী বুধবার রায় ঘোষণা করা হবে বলে আদেশ দেন।

চাঞ্চল্যকর এই মামলার প্রধান আসামি ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু এবং অন্যতম আসামি পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু এবং বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবীর দুলাল আদালতে হাজির না থাকায় তাদের বিরদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন- সিনিয়র আইনজীবী গোলাম হাসনায়েন, আখতারুজ্জামান মুক্তা, ওবায়দুল হক প্রমুখ। আসামি পক্ষে ছিলেন- অ্যাডভোকেট নুরল ইসলাম গ্যাদা, মাসুদ খন্দকার, সনৎ কুমার প্রমুখ।  

উল্লেখ্য, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচিতে ট্রেনবহর নিয়ে রেলপথে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন এলাকায় ট্রেনটি পৌঁছালে উপর্যুপরি গুলিবর্ষণ করা হয়।

এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ওসি নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ৩ বছর পর ১৯৯৭ সালে ৩ এপ্রিল সিআইডির তদন্তে ৫২ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ পত্র দেয়া হয়।

এরমধ্যে গত রোববার (৩০ জুন) দুপুরে ৩০ জন আসামি আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মারা গেছেন ৬ জন আসামি। বাকি ১৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা করেছেন আদালত। আসামিরা ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।

একেএস

আরও পড়ুন