• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০১৯, ১২:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৪, ২০১৯, ১২:৫৬ পিএম

ঢাকায় ডেঙ্গু রোগে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৫ জন

ঢাকায় ডেঙ্গু রোগে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৫ জন
এডিস মশা

 

ঢাকা দুই সিটি করর্পোরেশনে বর্ষা মৌসুম শুরুতেই ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। ঢাকা উত্তরে ৩জন এবং ঢাকা দক্ষিণে ২জন মারা গেছে। শুধু ডেঙ্গু জ্বরই নয়, মশাবাহিত রোগব্যাধি এখন নাগরিক জীবনে জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি। এডিস ইজিপ্ট ও এডিস অ্যালবোপিকটাস নামের দুই প্রজাতির মশা ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ ছড়াচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে দুই সিটি করর্পোরেশন নগরবাসীকে জনসচেতনতা বাড়ানোসহ লিপলেট বিতরণ, বাসা বাড়ির ছাদে, ফুলের টপে ডেঙ্গুর সৃষ্টি হতে পারে এমন ধরনের স্থানে ঔষুধ ছিটানো হচ্ছে। এসব মশার বংশ বৃদ্ধি ও বিস্তার লাভের কারণেই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ঢাকা উত্তর সিটির  প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়া জেনারেল মামুনুর রশিদ দৈনিক জাগরণকে বলেন, ২ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গুর কারণে ২জন মারা গেছে। তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২১৪৫ জন। ভর্তি রোগীদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতোমধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে ২৭৯ জন বাড়ি ফিরেছে। তবে অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে আগে-পরে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ডেঙ্গুসহ মশার উপদ্রব বেড়েছে। ডেঙ্গু জ্বর বিশেষজ্ঞদের মতে, জুন-জুলাই মাস ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার প্রজনন মৌসুম। এ সময় থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। জমে থাকা নোঙরা পানিতে এডিস মশার জন্ম হয়। বাড়ির আশপাশে যেন কোথাও পানি জমে না থাকে, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

সূত্র মতে, ঢাকায় মশা নিধন এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। দেশের প্রায় সব শহরই মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকিতে থাকলেও শুরু থেকে ঢাকাতেই এ রোগের প্রভাব বেশি। এক জরিপে দেখা যায়, ২০০০-০৯ সাল পর্যন্ত দেশের মোট ডেঙ্গু রোগীর শতকরা ৯১ জনই ঢাকার। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মতো অপ্রচলিত রোগের আকস্মিক প্রাদুর্ভাব ও মানুষের মৃত্যুর কারণে আতঙ্কজনক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে মশক নিধন ও জনসচেতনতা সৃষ্টির ব্যাপক উদ্যোগের কথা শোনা গেলেও বাস্তবতার তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। গত বছর রাজধানীর ১৯টি এলাকাকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে এসব এলাকার বাসিন্দাদের জন্য শুধু বিশেষ সতর্কবাণী জারির মাধ্যমেই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।

টিএইচ/এসজেড