• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০১৯, ১১:০২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৬, ২০১৯, ১১:৩৩ এএম

কোরবানির ঈদ

ভারতীয় গরু না আসলে লাভবান হবে স্বল্প পুঁজির খামারীরা

ভারতীয় গরু না আসলে লাভবান হবে স্বল্প পুঁজির খামারীরা


ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করণে ব্যস্ত খামারীরা। তাদের দাবি, ভারতীয় গরু বাংলাদেশে আসা বন্ধ হলেই খামারীরা লাভবান হবেন।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অজন্তা ডেইরি ফার্মের ব্যবসায়ী কাজী সিরাজুল ইসলাম স্বল্প পুঁজির একজন খামারী। তিনি বলেন, স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীরা প্রতিবছর কোরবানির ঈদের ৭/৮ মাস আগে দাদনের উপর টাকা নিয়ে গরু মোটাতাজাকরণ শুরু করেন। কিন্তু ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করায় খামারীরা আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারে না। এ কারণে দাদনের টাকা পরিশোধ করা স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীরা খামারের ব্যবসার আস্থা হারাচ্ছে।

শাহজাদপুরের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, তাদের গ্রামে প্রায় ৪০টি পরিবার ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশী, ক্রসবিড, নেপালীসহ বিভিন্ন জাতের গরু মোটাতাজাকরণের জন্য পালন করছে। এ বছর বাজার ভাল হলে আর ভারতীয় গরু না আসলে তারা লাভ করতে পারবেন বলে জানান।

তারা বলেন, আগের কয়েক বছরের মতো এ বছরও ভারতীয় গরু আনার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি থাকলে স্বস্তিতে ব্যবসা করবেন খামারীরা। 

উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিভিন্ন গ্রামের স্বল্প আয়ের মানুষরা বাড়তি লাভের আশায় ঈদের ৭/৮ মাসে আগে গরু মোটাতাজা শুরু করেন। 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, শাহজাদপুর উপজেলায় ৩ হাজারের উপরে ডেইরি ফার্ম রয়েছে । এছাড়া এ অঞ্চলে মৌসুমি খামারীরা কাজ করে থাকে। এ সব খামারে গরু মোটাতাজা করা হয়ে থাকে। এসব মৌসুমি খামার ছাড়াও প্রায় প্রতিটি কৃষকের বাড়িতে ৪-৫ টি করে গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। 

টিএইচ/আরআই
 

আরও পড়ুন