চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় হাবিল হোসেন (৩৫) ও লিপন আলী (৩২) নামের দুজনকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়া হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন।
লিপন আলী ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার আলাইপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে ও হাবিল হোসেন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের সোনাই মন্ডলের ছেলে।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ৯ নভেম্বর বিকালে বিপাশা খাতুন শ্বশুরবাড়ি যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার বড়খাপুর গ্রাম থেকে বাবার বাড়ি চুয়াডাঙ্গার জীবননগর আন্দুলবাড়িয়া গ্রামে আসছিলেন। বিপাশা খাতুন গাড়ি থেকে নেমে জীবননগর আন্দুলবাড়িয়া বাজারে দাঁড়ান। এরপর হেঁটে বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় গ্রামের মাঠে তাকে একা পেয়ে হাবিল হোসেন, লিপন আলীসহ ৫-৭ জন বিপাশাকে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোটরসাইকেলযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। গৃহবধূর পরিবার বিষয়টি জীবননগর থানার পুলিশকে জানায়। পুলিশ ৩ দিন পর উপজেলার ভোমরাডাঙ্গা গ্রাম থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে। অভিযুক্তরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
১২ নভেম্বর মেয়ের বাবা হারেজ মন্ডল বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে জীবননগর থানায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
জীবননগর থানার এসআই শেখ আজগর আলী মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
দীর্ঘ ৫ বছর পর ৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক একজন আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১৪ বছর করে কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
রায় ঘোষণার সময় লিপন আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামি হাবিল হোসেন পলাতক।
এনআই