• ঢাকা
  • বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০১৯, ১০:১৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১১, ২০১৯, ১০:২০ এএম

১৭ জুলাইয়ে চালু হচ্ছে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ 

১৭ জুলাইয়ে চালু হচ্ছে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ 

চলতি মাসের ১৭ জুলাই থেকে বেনাপোল-ঢাকা রুটে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ নামে একটি ট্রেন সার্ভিস চালু হতে যাচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। ট্রেনটি বিরতিহীনভাবে বেনাপোল থেকে ঢাকা রুটে সরাসরি যাতায়াত করবে। এর আগে ৩ জুলাইয়ে রেলমন্ত্রী বেনাপোলও যশোর রেলস্টেশন পরিদর্শন করে বলেছিলেন ট্রেনটি ২৫ জুলায়ে ট্রেনটি চালু করা হবে। তবে ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর অন্য একটি প্রোগ্রামের তারিখ থাকায় তারিখ পরিবর্তন করে ১৭ জুলাই করা হয়েছে। দেশের অন্যতম বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশের সিংহভাগ আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য সম্পন্ন হয়। সেই সঙ্গে এ বন্দর দিয়ে ভারতে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী যাওয়া আসা করে। এ কারণে বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারীরা দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল ঢাকা ট্রেন সার্ভিসের দাবি করে আসছিলেন। সেই দাবির প্রেক্ষিতে সরকার বেনাপোল থেকে ঢাকা পর্যন্ত বিরতিহীন ট্রেন সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বিশেষ করে ট্রেনটি ভারতগামী যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বেনাপোল-ঢাকা বিরতিহীন সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু হচ্ছে। ৯০০ যাত্রী ধারণ ক্ষমতার আধুনিক এই ট্রেনটি চলবে বিরতিহীনভাবে। ট্রেনটিতে থাকবে ১২টি বগি বা কোচ। এসব বগি ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা হয়েছে। ঢাকা থেকে মাত্র সাড়ে সাত ঘণ্টায় ট্রেনটি বেনাপোল পৌঁছাবে। আগামী ঈদ যাত্রায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ এই ট্রেনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোল তল্লাশি চৌকি (চেকপোস্ট) দিয়ে পাসপোর্টোর মাধ্যমে প্রতিদিন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাত থেকে আট হাজার মানুষ চলাচল করেন। বেনাপোল থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য সরাসরি কোনো ট্রেন সার্ভিস চালু নেই। ১৭ই জুলাইয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ট্রেনটির উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। এর পর থেকে ট্রেনটি নিয়মিত যাতায়াত করবেন। 

বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী মাস্টার পারভীন জানান, বেনাপোল-ঢাকা ট্রেনে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে। এই ট্রেনে বিমানের মতো বায়ো-টয়লেট সুবিধা রয়েছে। আসন গুলোও আধুনিক। প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। আবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে। সকাল আটটার মধ্যে ট্রেনটি বেনাপোল বন্দরে পৌঁছে যাবে। যাতে ভারতগামী যাত্রীরা সকাল নয়টার মধ্যে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে পৌঁছাতে পারেন। বেনাপোল থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যশোর রেলওয়ে জংশনে পৌঁছে ১৫ মিনিটের বিরতি নেবে। এ সময়ের মধ্যে যাত্রী ওঠানো ও রেলের ইঞ্জিন ঢাকামুখী ঘোরানো হবে। এরপর ঈশ্বরদী গিয়ে ট্রেনের চালকসহ অপারেশনাল কর্মী বদলের জন্য আরও ১৫ মিনিটের বিরতি থাকবে। পরে ট্রেনটি ঢাকা কমলাপুর স্টেশনে শেষ গন্তব্যে ছেড়ে যাবে। তবে এর আগে ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে কিছুক্ষণের জন্য ট্রেনটি থামানো হবে। বেনাপোল থেকে ঢাকা পর্যন্ত এ ট্রেনের টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, শোভন চেয়ার ৫০০ টাকা, এসি (শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত) চেয়ার এক হাজার ও এসি কেবিন এক হাজার ২০০ টাকা। এর সঙ্গে বিরতিহীন সুবিধার জন্য ১০ শতাংশ চার্জ যোগ করতে হবে। ‘আগামী ২৫ জুলাই এ ট্রেনের উদ্বোধনের সম্ভাব্য দিন নির্ধারণ করে অবকাঠামোগত উন্নয়নকাজ চালানো হচ্ছে। যাত্রীদের বিশ্রামের জন্য বেনাপোল স্টেশনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি বিশ্রামাগার সংস্কারের কাজ চলছে।’ 

রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে যশোর থেকে ঢাকার মধ্যে যে ট্রেন সার্ভিস চালু রয়েছে সেটি ১৪টি স্থানে যাত্রা বিরতি করে। এতে ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। বেনাপোলের সাথে ঢাকার যোগাযোগ বাড়াতেই এ রেল সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। 

কেএসটি