
কুমিল্লা আদালতে বিচারকের সামনে আসামির ছুরিকাঘাতে অপর আসামির মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা সেশন জজ অতিরিক্ত-৩ আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌসের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জেলা পর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন এবং ডিআইও-১ মাহবুব মোর্শেদের সমন্বয়ে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করবেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন।
নিহত আসামি ফারুক কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার অহিদুল্লাহর ছেলে। ঘাতক হাসানও একই উপজেলার শহীদুল্লাহর ছেলে।
ওই আদালতের পিপি নুরুল জানান, মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ২০১৩ সালের একটি হত্যা মামলার বিচারকাজ চলছিল। জামিনের থাকা মামলার দুই আসামি ফারুক ও হাসান এদিন এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ হাসান তার সঙ্গে থাকা ছুরি বের করে ফারুককে আঘাত করে।
তিনি জানান, পরে ফারুককে দ্রুত উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামিরা সম্পর্কে মামাতো-ফুপাতো ভাই। হাসানের বাড়িও কুমিল্লার লাকসামে। সে পেশায় রাজমিস্ত্রি।
ঘটনার পরপরই হাসানকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, হাসানের দাবি– ফারুকের কারণেই সে এই মামলায় জড়িয়েছে। আর তাই ক্ষোভ থেকে সে ফারুককে ছুরি মেরেছে বলে দাবি করেছে।
পুলিশ জানায়, হাসানের কাছ থেকে জব্দকৃত ছোরাটি গরু জবাই করার বড় ছোরা। পরিকল্পিতভাবে এই ছোরাটি নিয়েই সে সোমবার আদালতে হাজির হয়।
কেএসটি