বগুড়ার শেরপুরে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলায় ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা করেছে কয়েকজন যুবক। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে, জেলার আদমদীঘি উপজেলায় এক নারী কর্মচারীকে ধর্ষণ করেছে হোটেল মালিক। এ ঘটনায় আদমদীঘি থানায় বাদি হয়ে মামলা করেছেন ঐ নারী।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিল ওই স্কুলছাত্রী। মধ্যরাতে সিঁধ কেটে তার ঘরে ঢোকে ৩-৪ দুর্বৃত্ত। তারা অস্ত্রের মুখে মেয়েটিকে জিম্মি করে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মেয়েটি চিৎকার শুরু করলে বাড়ির লোকজনসহ প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। এ সময় দুর্বৃত্তরা মেয়েটির গলায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারের সদস্যদের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে উপজেলার জয়লা জুয়ান গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে শাকিল আহম্মেদকে (১৬) আটক করেছে পুলিশ। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে শাকিল মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করত। এ ঘটনায় সে জড়িত থাকতে পারে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। শেরপুর থানার পরিদর্শক বুলবুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের শিববাটী বাজারে ফারেশ আলীর খাবার হোটেলে কাজ করতেন এক নারী (৪৫)। গত মঙ্গলবার তাকে নিয়ে হোটেলে রান্নার জ্বালানি কিনতে পাশের তিলোছ সোনারপাড়া যায় ফারেশ আলী। সেখানে একটি বাড়িতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে ফারেশ। ধর্ষক ফারেশ আলী উপজেলার সোনারপাড়া গ্রামের খয়বর আলীর ছেলে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে বুধবার বিকেলে থানায় মামলা করেছেন বলে জানিয়েছে আদমদীঘি থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক।
কেএসটি