মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা নামের এক বাংলাদেশি হিন্দু মহিলা সংখ্যালঘু নির্যাতন বিষয়ে যে তথ্য দিয়েছেন তা সঠিক বলে মনে করেন না ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার। শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকালে রাজধানীর মেরুল বাড্ডার বৌদ্ধ মন্দিরে এক অনুষ্ঠানে মিলার এ কথা বলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সহিষ্ণুতার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে হোয়াইট হাউজে কথা বলেন। এতে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে প্রিয়া সাহা নামের এক নারী ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে প্রায় ৩৭ মিলিয়ন (৩ কোটি ৭০ লাখ) হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এরইমধ্যে উধাও হয়ে গেছে। এখনও ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে উল্লেখ করে তিনি ট্রাম্পের সহায়তা চান।
হোয়াইট হাউজের ওয়েব সাইটের বিবৃতিতে বাংলাদেশি ওই নারীকে মিসেস সাহা পরিচয় দেয়া হয়। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানা যায় তার নাম প্রিয়া সাহা। তিনি বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও শাড়ি নামের একটি বেসরকারি সংগঠনের (এনজিও) মালিক। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলায় চরবানিরীর মাটিভাঙ্গায়। তার স্বামীর নাম মলয় সাহা। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একজন কর্মচারী। বর্তমানে দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত অবস্থায় আছেন বলে জানা যায়।
তবে প্রিয়া সাহার এমন অভিযোগ সঠিক নয়- মন্তব্য করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় একে অপরকে শ্রদ্ধা করে। আমার প্রথম ৮ মাসের দায়িত্ব পালনকালে আমি বাংলাদেশের ৮টি বিভাগেই ঘুরেছি। মসজিদ, মন্দির ও চার্চে গিয়ে ইমাম, পুরোহিতদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন আমি এসেছি একটি বৌদ্ধ মন্দিরে। আমার কাছে যেমনটা মনে হয়েছে, এখানকার ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাসের লোকজন একে অপরকে শ্রদ্ধা করে। তাই আমি মনে করি, তার অভিযোগ সঠিক নয় বরং ধর্মীয় সম্প্রীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য নাম। যদিও কোনো দেশই সংখ্যালঘুদের অধিকার দিতে সফলতা পায়নি।
মিলার আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রধান ইস্যুগুলো কী তা যুক্তরাষ্ট্র ভালোভাবেই জানে।
টিএস/এফসি