সাভারের তেঁতুলঝোড়া এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে অজ্ঞাত (৩৫) এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এর আগে শনিবার সকালে গণপিটুনিতে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় অজ্ঞাত ৮শ জনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ওই নারীর তাৎক্ষণিক নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
রোববার (২১ জুলাই) সকালে সাভার মডেল থানার ট্যানারি ফাঁড়ির ইনচার্জ এমারৎ হোসেন দৈনিক জাগরণকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, ওই নারী সাভারের হেমায়েতপুর এলাকার তেঁতুলঝড়া ইউনিয়নে বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য রুম খোঁজাখুঁজির করছিলেন। এসময় প্রথমে জজ মিয়ার বাড়িতে বাসা ভাড়ার জন্য আসেন। সেখানে পছন্দ মতো বাসা ভাড়া না পেয়ে পাশের ফারুকের মালিকানাধীন বাসায় ভাড়া জন্য যান। পরে ফারুকের বাসা থেকে বের হলে স্থানীয়রা ছেলেধরা সন্দেহে ওই নারীকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে ওই নারীকে স্থানীয়রা আটক করে বেদর মারধর করে। এসময় ওই নারী নিজেকে বাঁচানোর জন্য দৌড়াতে দৌড়াতে হেমায়েতপুর-সিংগাইর রোড়ে আসলে ট্যানারি ফাঁড়ি পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থান রাত ৯টার দিকে ওই নারীর মৃত্যু হয়। তবে ওই নারী বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য এসেছিলেন বলে অস্বীকার করেন বাড়ির মালিক জজ মিয়া ও ফারুক।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ট্যানারি ফাঁড়ির ইনচার্জ এমারৎ হোসেন দৈনিক জাগরণকে জানান, বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য ওই নারী এসে ছিলেন। তবে কে বা কারা মিথ্যা গুজবে ওই নারীকে ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তবে গণপিটুনীতে নারী মৃত্যুর ঘটনায় অজ্ঞাত ৮শ জন ব্যক্তিকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ।
কেএসটি