• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০১৯, ০৮:২২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৩, ২০১৯, ০৮:২২ এএম

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

চরম খাদ্য সংকট, ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগ

চরম খাদ্য সংকট, ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগ
চিলমারী উপজেলা শহরের প্রধান সড়কের অবস্থা- ছবি : জাগরণ

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি  হ্রাস পেতে শুরু করায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তলিয়ে আছে চর, দ্বীপচর ও নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়ি।

বাঁধ, পাকা সড়ক ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলো উঁচু এলাকার ঘর-বাড়িতে ফিরতে শুরু করলেও নিচু এলাকার পরিবারগুলো তলিয়ে থাকা ঘর-বাড়িতে ফিরতে পারছেন না।
বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া, আমাশয়, জ্বর, কাশি সর্দিসহ নানা পানিবাহিত রোগ। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যা দুর্গতদের।
এ অবস্থায় হাতে কাজ না থাকায় এবং পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ায় চরম খাদ্য সংকটে পড়েছেন দিনমজুর শ্রেণীর মানুষজন।

উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার আবেদ আলী জানান, আমি দিন মজুরের কাজ করে সংসার চালাই। বন্যার কারে আজ ১৩ দিন ধরে চারিদিকে পানি। কোথাও কাজ নাই। ঘরে খাবার নাই। ত্রাণের ১০ কেজি চালও শেষ হয়ে গেছে। সন্তানদের নিয়ে খুবই কষ্টে দিন পার করছি।

অন্যদিকে, চিলমারী উপজেলা শহরে বাঁধ ভেঙে ঢুকে পড়া বন্যা পানি নেমে না যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার মানুষজন। চিলমারী থানাসহ থানার গেটের বাইরের সড়কে কোমর ও হাঁটু সমান পানি থাকায় থাকায় উপজেলা শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কে চরম দুর্ভোগে যাতায়াত করছেন সেখানকার বাসিন্দারা। উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে হাঁটু সমান পানি থাকায় ব্যাহত হয়ে পড়েছেন উপজেলা প্রশাসনের কার্যক্রমও। পাকা ঘরবাড়িতে পানি জমে থাকায় গত ৫ দিন ধরে পানির মধ্যেই বসবাস করছেন সেখানকার অধিাবাসীরা।

বন্যায় এ পর্যন্ত ১১ জন শিশুসহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

জেলা প্রশাসন থেকে ৯ উপজেলার ৮ লক্ষাধিক বন্যা কবলিত মানুষের জন্য এখন পর্যন্ত ৮শ মেট্রিক টন চাল, ৭ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও সাড়ে ১৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।

কেএসটি

আরও পড়ুন