• ঢাকা
  • বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০১৯, ১০:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৬, ২০১৯, ১০:০২ পিএম

৪২ মণ ওজনের ‘টাইগার’ দেখতে মানুষের ভিড়

৪২ মণ ওজনের ‘টাইগার’ দেখতে মানুষের ভিড়
টাইগারের দাম হাঁকা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা - ছবি : জাগরণ

৪২ মণ ওজনের ষাঁড় গরু, নাম দেওয়া হয়েছে টাইগার। কোরবানির পশুর হাটে টাইগার গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। পাবনার চাটমোহর উপজেলার খামারি মিনারুল ইসলামের খামারে এই বিশাল ষাঁড় গরুটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছে উৎসুক মানুষ।

পাবনার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ছোট গুয়াখড়া গ্রামের মৃত আলহাজ আকুল প্রামানিকের ছেলে মিনারুল ইসলাম (৪৪)। এক বছর চার মাস আগে প্রতিবেশী এক বন্ধুর ১৫-১৬ মণ ওজনের গরুটি কিনে দেশীয় পদ্ধতিতে নিজের খামারে প্রথমবারের মতো গরু মোটাতাজা শুরু ধরেন মিনারুল। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তার সেই ষাঁড় গরুটি। নাম দেন টাইগার।

বর্তমানে তার টাইগার নামের গরুটির দৈর্ঘ্য ৯ ফুট, উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট। ফিজিয়ান জাতের এ গরুটির বর্তমান ওজন ৪২ মণ। কালো আর সাদা রং মিশ্রিত সুঠাম স্বাস্থ্যের অধিকারী টাইগারকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে যাচ্ছে মানুষ।

মিনারুলের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জানান, তিনি তার স্বামীকে গরু পালনে সহযোগিতা করে থাকেন। টাইগারকে দেখতে প্রতিদিন অনেক লোক আসে। চারজন শ্রমিক গরুটির দেখাশোনা করেন।

গরুটির দেখাশোনার দায়িত্বরতদের মধ্য সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ বারেক মোল্লা বলেন, ‘আমার জীবনে এত বড় গরু কোনো দিন পালিনি। গরুটির স্বভাবসুলভ খুবই ভালো। তবে বেশি লোকের ভিড় দেখলে রেগে যায়।’

স্থানীয় গাজিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের গ্রামের গর্ব, এমন বড় গরু আমরা আজও পাবনা জেলার মধ্যে দেখিনি।’ খামারি মিনারুলের ছোট ভাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘এত বড় গরু আমাদের এখানে প্রতিদিন মানুষ দল বেঁধে দেখতে আসে। গরুটির যদি ন্যায্য দাম পাই, তাহলে আমার বড় ভাইকে আগামীতে গরু মোটাতাজাকরণে উৎসাহিত করব।’

খামারি মিনারুল ইসলাম জানান, ‘গরুটা প্রথম যখন কিনি তখন ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা দিয়ে, তখন ওজন ছিল ১৫ থেকে ১৬ মণ। দেশীয় খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে। আমি এখন বর্তমান বাজার মূল্য চেয়েছি ৩০ লাখ টাকা। গরুর ওজন ৪২ মণ ছাড়িয়ে গেছে। এখন কাঙ্ক্ষিত দামে বিক্রি করতে পারলেই আমি খুশি।’

পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আল মামুন হোসেন জানান, পাবনা জেলায় এবারের কোরবাবির উদ্দেশ্যে ২০ হাজার ৬৭৩টি খামারে গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ মিলিয়ে ২ লাখ ১৮ হাজার পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি জেলার চাদিা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতে পারবে। এই পশুগুলো খামারিরা সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে হৃষ্টপুষ্ট করেছেন। মিনারুলও তাদের একজন। তিনি তার গরুটির ভালো দাম পাবেন বলে প্রত্যাশা করেন ডা. মামুন।

দেশীয় খামারিরা যাতে তাদের পশু বিক্রির ক্ষেত্রে ন্যায্য মূল্য পান, সে জন্য এ বছর ভারতীয় গরু আমদানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এনআই

আরও পড়ুন