যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ডাক্তাররা। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় অপর একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গত এক সপ্তাহে যশোর হাসপাতালে জ্বর নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডাক্তাররা জানান, গত দু’দিনে হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন, মণিরামপুর উপজলোর গাবুখালী গ্রামের আকিকুর রহমানের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩১), যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে সোহেল (২৫), রূপদিয়ার দেয়াপাড়ার মালেক মোল্যার ছেলে নওয়াব আলী (৪৫), যশোর শহরের ষষ্ঠীতলা পাড়ার আজির আলীর ছেলে ঢাকা ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার আলমগীর ফারুক (৪৫), পোস্ট অফিস পাড়ার বিশ্বজিতের ছেলে অভিজিত (২৫), বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরার মির্জাপুর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে ইলিয়াস হোসেন (২৭), মণিরামপুর উপজেলার নইলে গ্রামের শাহিনুর রহমানের ছেলে আসিফ রায়হান (২৪)। এর আগে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হিসেবে আরো ১২ জনকে শনাক্ত করেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। আক্রান্তদের মধ্যে নড়াইল সদর উপজেলার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসলাম খানের স্ত্রী রুকসানা পারভীন রানী (৫২) যশোর ইবনে সিনা হাসপাতালে গত ১৯ জুলাই শুক্রবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত খাজুরার ইলিয়াস হোসেনকে বৃহস্পতিবার ঢাকায় রেফার করেছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার।
যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন হারুণ অর রশিদ জানান, যশোরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হিসেবে ১৯ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গু জ্বরের রোগীদের পৃথক পৃথকভাবে দেখাশোনা করা হচ্ছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে যারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাদেরকে গুরুত্ব সহকারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীদের যথাযথভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এ নিয়ে ভয়-ভীতির কোন কারণ নেই। চিকিৎসা নিলে সব রোগীয় সুস্থ হয়ে যাবেন বলে তিনি জানান।
কেএসটি