নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ঘরে ফিরেছে বেশির ভাগ বানভাসী মানুষ। তবে ফিরলেও বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়িতে দুর্ভোগ বেড়েছে তাদের। বন্যায় ঘরবাড়ি হারানো পরিবারগুলোর ঘরে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এসব পরিবার উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়ে পরিবার পরিজনসহ মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
এবারের বন্যা দীর্ঘ মেয়াদি হওয়ায় এবং ফসলের মাঠ এখনও পানির নিচে তলিয়ে থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন দিন মজুর শ্রেণির মানুষেরা। এ অবস্থায় সরকারি-বেসরকারি ত্রাণের ওপরই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন তারা। কিন্তু সে ত্রাণ সহায়তাও অপ্রতুল হওয়ায় খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন তারা।
বন্যার পানিতে দীর্ঘদিন তলিয়ে থাকায় জেলার ৯ উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমির উবশি ধান, বীজতলা, পটল ক্ষেত, ঢেঁড়স, মরিচসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গেছে।
সদর উপজেলার পাঁছগাছী ইউনিয়নের পটল চাষি নুর ইসলাম জানান, আমি দুই বিঘা জমিতে পটলের আবাদ করেছিলাম। পটল বিক্রি করেই সংসারের খরচ চালাতাম। কিন্তু বন্যার পানিতে দীর্ঘ সময় তলিয়ে থাকায় তা সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গেছে।
এদিকে, বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া, চর্মসহ নানা পানিবাহিত রোগ।
বন্যার শুরুর দিকে জেলা প্রশাসন থেকে জেলার বন্যা কবলিত সাড়ে ৯ লাখ মানুষের জন্য ১ হাজার মেট্রিক টন চাল, ১০ হাজার ৫শ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। যা বরাদ্দ দেয়ার পরপরই বিতরণও শেষ হয়েছে। এরপরে আর নতুন করে কোন বরাদ্দ দেয়া হয়নি।
কেএসটি