• ঢাকা
  • বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০১৯, ০৬:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩০, ২০১৯, ০৬:৫৩ পিএম

বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে জাতির জনকের ম্যুরাল হস্তান্তর

বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে জাতির জনকের ম্যুরাল হস্তান্তর
বেনাপোল চেকপোস্ট নোম্যান্সল্যান্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল (ভাস্কর্য) হস্তান্তর করা হচ্ছে  -  ছবি : জাগরণ

বেনাপোল চেকপোস্ট নোম্যান্সল্যান্ডে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে ভারতের কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার বি এম জামাল হোসাইনের কাছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল (ভাস্কর্য) হস্তান্তর করলেন বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর ২টার সময় ৩ ফুট ৬ ইঞ্চি এ ম্যুরালটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে ডেপুটি হাইকমিশনার বি এম জামাল হোসাইন বেনাপোল চেকপোস্ট নোম্যান্সল্যান্ডে এলে বেনাপোল পৌরসভার পক্ষ থেকে তাকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন মেয়র লিটন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি কমার্শিয়াল মো. শামসুল আরিফ ও প্রটোকল অফিসার আজিজুল আলম।

অন্যদিকে মেয়রের সাথে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল পৌর প্যানেল মেয়র সাহাবুদ্দিন মন্টু, বেনাপোল শুল্ক হাউসের সহকারী কমিশনার আব্দুল মতিন সরকার, বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আবুল বাশার, চেকপোস্ট কাস্টম সুপার ইমদাদুল হক, বেনাপোল চেকপোস্ট আইসিপি ক্যাম্পের বিজিবি সুবেদার বাকি বিল্লাহ প্রমুখ।

ম্যুরালটি গ্রহণ করে ডেপুটি হাইকমিশনার বি এম জামাল হোসাইন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি কলকাতার বেকার হলে স্থাপন করা হবে। এ ম্যুরালটি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পাঠিয়েছেন বেনাপোল পৌর মেয়রের মাধ্যমে। ম্যুরালটি হাতে পেয়ে মনে হচ্ছে এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। তিনি বলেন, ভারতের কলকাতার বেকার হলের ২৪ নং কক্ষে থাকতেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি কলকাতার তালতলার স্মিথ লেনে অবস্থিত সরকারি বেকার হোস্টেলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।

ভারতবর্ষের রাজনীতির অবিস্মরণীয় সব ইতিহাস বেকার হোস্টেলকে সমৃদ্ধ করেছে। আর সেই বেকার হোস্টেলকে আরো স্মরণীয় ও বরণীয় করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমান। আগামী ৩ আগস্ট বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ম্যুরালটির শুভ উদ্বোধন করবেন।

বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, ‘আজ আমরা অত্যন্ত গর্বিত। জাতির জনকের মর্যাদা সারা বিশ্বে। জাতির জনককে কলকাতার বেকার হলে আরো আগে সে দেশের সরকার মর্যদা দিয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ১৯৯৮ সালে বেকার হোস্টেলের ২৪ নং কক্ষের সাথে ২৩ নম্বর কক্ষটি যুক্ত করে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ গড়ার উদ্যোগ নেন। ওই বছর ৩১ জুলাই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি কক্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী সত্য সাধন চক্রবর্তী। ২৪ নং কক্ষে রয়েছে জাতির জনকের পড়ার চেয়ার টেবিল একটি কাঠের আলমারি ও খাট। রয়েছে আলোকচিত্র ও বেশ কিছু বই। বাংলাদেশে নির্মিত জাতির জনকের ম্যুরাল আমরা ভারতে জাতির জনকের স্মৃতিবিজড়িত হলে পাঠাতে পেরে আজ গোটা জাতি গর্বিত।’

এনআই

আরও পড়ুন