
প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে বাবার মৃত্যুতে আনন্দঘন বিয়ের অনুষ্ঠান নিমিষেই পরিণত হলো বিষাদে। এ ঘটনার পর কমিউনিটি সেন্টার ও কনের বাসায় স্বজনদের মধ্যে চলছে শোকের মাতম। উল্লাসের বিয়ে বাড়িতে নেমেছে শোক। চলছে কান্নার রোল।
রাজধানীর মগবাজারের দিলু রোডের প্রিয়াঙ্কা কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের আসরে ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে খুন হন স্বপ্না আক্তার ফাতেমা নামে কনের বাবা তুলা মিয়া।
কনের কথিত প্রেমিক সজীব আহমেদ রকি কমিউনিটি সেন্টারে ঢুকে অতিথিদের সামনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মগবাজারের দিলু রোডের প্রিয়াঙ্কা কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠানে এ হত্যাকাণ্ডে ঘটনা ঘটে। এ সময় অতিথিদের গণপিটুনিতে ঘাতক রকি আহত হয়। রকিকে আটকের পর পুলিশ হেফাজতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হামলাকারী রকির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তার সঙ্গে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্ক মেনে না নিয়ে মেয়ের অন্যত্র বিয়ে ঠিক হওয়ায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় সে।
নিহত তুলা মিয়ার স্ত্রী ফিরোজা বেগমও এ ঘটনায় আহত হয়েছেন। এখন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ফিরোজা বেগম জানান, ঘরোয়া আয়োজনে তার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। বিষয়টি জানতে পেরে সজীব আহমেদ রকি সেখানে গিয়ে হাজির হয়। মেয়ের বাবার সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে রকি তাকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে আহত তুলা মিয়াকে উদ্ধার করে কাছেই ইনসাফ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ জানান, কমিউনিটি সেন্টারে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে ঢুকে এক যুবক কনের মা-বাবার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি শুরু করে। একপর্যায়ে কনের বাবা তুলা মিয়াকে চাকু দিয়ে ছুরিকাঘাত করে ওই যুবক। এতে কনের মা বাধা দিলে তাকেও ছুরিকাঘাত করেন।
ওসি জানান, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয়েছে। তাকে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসার পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’
তুলা মিয়ার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এইচএম/এসএমএম