আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও জেলার হাট বাজারগুলো জমে উঠেছে। দেশীয় গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরুর আমদানিও ব্যাপক। পশুর হাটগুলোতে ভারতীয় গরুতে সয়লাব। কিন্তু বিক্রেতাদের অভিযোগ কেনাবেচা একদমই নেই। অপরদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ-কোরবানির গরুর দাম আকাশ ছোয়া।
কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁও জেলায় গড়ে উঠেছে ছোট বড় প্রায় ১৪ হাজার পশুর খামার। এসব খামারে প্রায় ৮০ হাজার গরু ছাগল ভেড়াকে হৃষ্টপৃষ্ট করা হচ্ছে। এই ৮০ হাজার গরু ছাগল বিক্রির জন্য বিভিন্ন হাটে তোলা হচ্ছে।
এবার ১১টি স্থায়ী ও ১০টি অস্থায়ী হাটে ইতোমধ্যে ব্যাপক গরুর আমদানি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরইমধ্যে জমে উঠেছে পশুর হাটগুলো। দেশীয় গরুর পাশাপাশি খামারের গরু ও ভারতীয় গরুতে ভরে গেছে হাটগুলো। ফরিয়ারা বিভিন্ন খামার হতে বড় বড় গরু কিনে আনলেও বড় গরুর ক্রেতা তেমন একটা নেই। অবশ্য ক্রেতাদের অভিযোগ ব্যবসায়ীরা গরুর দাম হাকছেন ইচ্ছেমতো। অবশ্য স্থানীয়রা বড় গরুর চাইতে দেশীয় গরুর দিকে ঝুঁকছেন বেশি। তবে ভারতীয় বিশাল আকারের গরুর প্রতি স্থানীয় ক্রেতাদের তেমন একটা আগ্রহ নেই। এসব ভারতীয় গরু বিশেষ করে বালিযাডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী হাটে ব্যাপক আমদানি করা হচ্ছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছর যে গরু ২০ হাজার টাকায় কিনেছেন এবার সেই গরুর দাম হাকছেন ৩০-৩৫ হাজার টাকা। তাই ব্যাপক হারে গরু কেনা বেচা নেই।
এদিকে, রোগাক্রান্ত ও ক্ষতিকারক কৃত্রিম পদ্ধতিতে লালন পালন করা পশু যেন হাটে বিক্রি না হয় সেজন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে হাটে মেডিকেল ক্যাম্প বসানো হয়েছে।
একইভাবে প্রতারক চক্র যাতে জাল টাকার ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করতে না পারে সেজন্য প্রতিটি হাটে জাল টাকা শনাক্ত করন মেশিন বসানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, প্রতিটি হাটে সাদা পোশাকে ও গোয়েন্দা পুলিশি ব্যবস্থা আছে সার্ভেলেন্স টিম আছে যাতে গরুর হাটে ক্রেতারা নির্বিঘ্নে পশু কেনাবেচা করতে পারে। অজ্ঞান পার্টির ব্যাপারে পুলিশি তৎপরতা রয়েছে। অনেক জায়গায় অজ্ঞান পার্টির লোক ধরা পড়ছে। এ ক্ষেত্রে অপরিচিত কারো কাছে কেউ যেন কোন কিছু না খায় এবং অজ্ঞান পার্টির কাছে সর্বশান্ত না হয় সেজন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।
কেএসটি