
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে নববধূ (১৯)। এক ধর্ষককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। তবে দুই ধর্ষক এখনো পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (১৮ আগস্ট) বিকালে উপজেলার পলাশপুর গ্রামে ডিসি প্রসেক্টে। সোমবার (১৯ আগস্ট) ধর্ষিতা বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় মামলা করেছে।
পুলিশ ও বাদীর এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বিকালে স্ত্রীকে নিয়ে স্বামী ঘুরতে যায় ডিসি প্রেজেক্টে। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ৩ যুবক স্বামীকে মারধর করে বসিয়ে রেখে। স্ত্রী জোড় করে নির্জন বাগানের ভিতরে নিয়ে ৩ জনে মিলে ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। স্বামী দৌড়ে পলাশপুর মসজিদের সামনে গিয়ে বিষয়টি লোকজনকে জানালে স্থানীয়রা এসে সোহেল (২২) নামে একজনকে হাতে নাতে আটক করে বাকি দুইজন পালিয়ে যায়। সোহেল পাশের উপজেলা ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বাঘাপুর গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে। বাকি দুইজন সিরাজদিখান উপজেলার পলাশপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের ছেলে হিমেল (২০) ও মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে শামীম (২৫)। এ ব্যাপারে বাকি ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ধর্ষিতার স্বজনরা।
সিরাজদিখান থানার ওসি (প্রশাসন) মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। আসামি ঘটনার স্বীকার করেছে এবং সঙ্গী দুজনের নাম বলেছে। সোমবার দুপুরে আসামি সোহেলকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। থানায় বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কেএসটি