
প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ কিভাবে আয়োজন হলো সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে টাস্কফোর্স।পাশাপাশি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি খোঁজ খবর নিচ্ছে। এতে করে উখিয়া ও কুতুপালং এর পুলিশ প্রশাসনসহ জড়িত একাধিক বাহিনীকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া উখিয়া ও কুতুপালং এলাকায় এ সমাবেশ আয়োজনের পেছনে কারা ছিল। কারা ইন্ধন যুগিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠকে এ আলোচনা হয়।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বৈঠকে গত ২৫ আগস্ট কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের সমাবেশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতো বড় সমাবেশ সেখানে হলেও মাঠ প্রশাসন থেকে ঢাকার প্রশাসনকে অবহিত কেন করা হয়নি, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া এ সমাবেশ আয়োজনের পেছনে কারা ছিল সে বিষয়েও আলোচনা হয়। একই সঙ্গে গত ২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কেন ব্যর্থ হলো সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢলের দুই বছর পূর্তিতে ২৫ আগস্ট উখিয়ায় এক বিশাল সমাবেশ করে রোহিঙ্গারা। এ সমাবেশ নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
এইচ এম/টিএফ