সাভারের আশুলিয়ায় খালার বাসায় বেড়াতে এসে এক তরুণী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগ করে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী তরুণী।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) জাবেদ মাসুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে।
অভিযুক্তরা হলেন- বাঘেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার ছেলে তোহা মোল্লা ও অপর ব্যক্তি ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানার কেষ্টপুর গ্রামের মৃত খাদিমুলের ছেলে মোস্তাফিজুর সরকার। তারা উভয়েই আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে মুদি ব্যবসা করতেন।
পুলিশ জানায়, কয়েক দিন পূর্বে ওই তরুণী তার গ্রামের বাড়ি থেকে খালার বাসা আশুলিয়ার জামগড়ায় বেড়াতে আসে। তার খালা পেশায় একজন পোশাক শ্রমিক হওয়ায় দিনের বেশির ভাগ সময় কারখানায় থাকতে হতো। আর সেই কারণেই মাঝে মধ্যেই ওই তরুণীকে বাসার কাজের সুবাদে মুদি দোকানে আসা যাওয়া করত। দোকানে আসা যাওয়ার ফাঁকে পরিচয় হয় মুদি দোকানদার তোহা মোল্লার নামে এক ব্যক্তির সাথে। সেই দোকানদার তরুণীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তার বাসায় আসতে বলে। এরপর মুদি দোকানির কথা মতো বিকেলে বাসায় আসলে তোহা মোল্লা ও মোস্তাফিজুর জোর করে ওই তরুণীকে দলবদ্ধ হয়ে ধর্ষণ করে। পরে ওই তরুণী তার খালাকে বিষয়টি জানালে শুক্রবার রাতে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) জাবেদ মাসুদ জানান, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ধর্ষিতা ওই তরুণীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেলের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) তে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
কেএসটি