ভোলার মনপুরা উপজেলায় এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলামকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ অক্টোবর) রাতে হাতিয়া থেকে পালানোর সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার নজরুল ছাত্রলীগের দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন শাখার সাবেক সভাপতি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগী গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে রোববার নির্যাতিতা বাদী হয়ে মনপুরা থানায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
নির্যাতিতা গৃহবধূর অভিযোগ, আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে ২৬ অক্টোবর চরফ্যাশনের দক্ষিণ আইছা গ্রাম থেকে মনপুরায় শ্বশুরবাড়ি ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু, লঞ্চ মিস করায় স্পিডবোটে ওঠেন ওই নারী, যাতে আরও দুজন যাত্রী ছিল। পথে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জনতার খালেরপার এলাকা থেকে আরও দুজন যাত্রী ওঠেন।
বোটে থাকা চার যাত্রী- বেলাল বেপারী (৩৫), মো. রাশেদ পালোয়ান (২৫), শাহীন খান (২২) ও কিরণ প্রত্যেকেই উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামের। তারা স্পিডবোট চালককে চরপিয়াল নিতে বাধ্য করে এবং সেখানে তাকে জোরপূর্বক দলবদ্ধ ধর্ষণ করে।
এদিকে, সবাইকে চরপিয়ালে নামিয়ে দিয়ে চালক স্পিডবোট নিয়ে জনতা বাজার চলে যায়। পরে জনতা বাজার থেকে স্পিডবোটের মালিক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল চরপিয়াল গিয়ে ওই চার ধর্ষককে মারধর করে এবং তিন হাজার টাকা রেখে তাদের ছেড়ে দেয়। পরে নজরুলও গৃহবধূকে ধর্ষণ করে এক হাজার টাকা দেয় এবং নাম না প্রকাশ করতে ধারণ করা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অলি উল্লাহ কাজল জানান, চরপিয়ালের গণধর্ষণের ঘটনাটি তিনি জেনেছেন। ওই নারীর ভাষ্য মতে, নজরুল তাকে ধর্ষণের পর স্পিডবোটযোগে চরফ্যাশন রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ওই নারীকে আবার চরফ্যাশন বেতুয়াঘাট থেকে মনপুরা জনতা বাজার ঘাটে সন্ধ্যার আগে আনা হয় এবং থানায় খবর দেয়া হয়।
কেএসটি