নেত্রকোনা তিন উপজেলায় শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি ও পাতলা পায়খানা নিয়ে মারা যাওয়া ৪ জনের কেউই কোভিড-১৯ আক্রান্ত ছিলেন না। সেই সাথে মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) পর্যন্ত আক্রান্ত সন্দেহে পাঠানো ৫১ জনের রির্পোটও নেগেটিভ এসেছে।
বুধবার (৮ এপ্রিল) পর্যন্ত নেত্রকোনা জেলায় কোনও কোভিড রোগীর খোঁজ মেলেনি।
ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইসিডিআর) এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষার প্রতিবেদন পেয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক ও জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়।
মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্তের কোনও আলামত না পাওয়ায় তাদের বাড়ি ও আশপাশের বাড়িগুলো থেকে লকডাউন ও হোম কোয়ারেন্টিনের নির্দেশ তুলে নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, খালিয়াজুরি সদর উপজেলায় সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ শনিবার (৪ এপ্রিল) সকালে নিজ বাড়িতে মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। রোববার (৫ এপ্রিল) ভোরে পূর্বধলা উপজেলায় জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট ও পাতলা পায়খানা নিয়ে এক নারীর (৫০) মৃত্যু হয়। সোমবার (৬ এপ্রিল) সকালে কেন্দুয়া পৌর শহরের জ্বর ও পাতলা পায়খানা নিয়ে এক তরুণ (২১) মারা যান। একই দিন রাত পৌনে নয়টায় পূর্বধলার গোহালাকান্দা ইউনিয়নে জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যান অপর এক ব্যক্তি (৪০)।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম ও সিভিল সার্জন তাজুল ইসলাম বলেন, নেত্রকোনায় মৃত চারজনসহ এ পর্যন্ত ৫১ জনের পাঠানো নমুনার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে কেউ কোভিডে আক্রান্ত নন।
নেত্রকোনায় এখন আর কেউ আইসোলেশনে নেই। যারা হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন তাদের ১৪ দিন শেষ হওয়ায় তারাও এখন স্বাভাবিকভাবে আছেন।
নেত্রকোনা জেলা এখন পর্যন্ত কোভিডমুক্ত রয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তারা।
এসএমএম