কোভিড-১৯ এর জেরে দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের বিক্রি কমে যাওয়ায় খামারিদের প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রায় ৯০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোভিডের প্রভাব অব্যাহত থাকলে লোকসান ছাড়াবে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। তাই এ শিল্পকে বাঁচাতে হলে প্রান্তিক খামারিদের প্রণোদনার পাশাপাশি ত্রাণ হিসেবে গো-খাদ্য দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন।
কোভিডের কারণে বন্ধ মার্কেট, খাবারের দোকান। ফলে বন্ধ রয়েছে মিষ্টি, ছানা, দইসহ বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদনও। এতে করে দুধ বিক্রি কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দেশের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ দুগ্ধ খামারি।
২০ মার্চ (শুক্রবার) থেকে কোভিডের জেরে প্রতিদিন প্রায় দেড় কোটি লিটার দুধ বিক্রি করা যাচ্ছে না। ফলে খামারিদের প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রায় ৯০ কোটি টাকা।
ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের হিসেবে, আগামী এক মাস এ অবস্থা চলতে থাকলে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৩ হাজার কোটি টাকা।
দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত কোম্পানিগুলো প্রতিদিন মোট উৎপাদিত দুধের মাত্র ৭ শতাংশ সংগ্রহ করতে সক্ষম। আর বাকি ৯৩ শতাংশ দুধ বিক্রি হয় মিষ্টির দোকান ও বাসা-বাড়িতে। তবে পর্যাপ্ত সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত কোম্পানিগুলোও দুধ সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারি ত্রাণের সঙ্গে উৎপাদিত গুড়া দুধ দেয়া হলে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদার পরিমাণও বাড়বে। এতে দুধ সংগ্রহ বাড়লে খামারিদের লোকসানের পরিমাণ কিছুটা কমবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এসএমএম