লকডাউন অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ থেকে কিশোরগঞ্জে পালিয়ে যাওয়ার সময় ফতুল্লার কয়েকটি এলাকা থেকে প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় জব্দ করা হয়েছে কয়েকটি ট্রলার ও পিকআপ ভ্যান।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার চরবক্তাবলি এবং রাত দেড়টার দিকে গাবতলী টাগারপাড়, মাউরাপট্টি, সাইনবোর্ড ও পঞ্চবটি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
দেশের প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে এ নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) মতে, করোনার ‘হটস্পট’ রাজধানীর কাছের এ জেলা। তাই হইতো এ জেলা থেকে পালিয়ে অনত্র যাওয়ার চেষ্টা করছে সবাই। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন লকডাউন দিয়ে অনত্র যাওয়া নিষেধ করে শাস্তির কথা ঘোষণা করলেও মানছে না সাধারণ মানুষ। রাতের আঁধারে পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছে নিয়মিত।
ফতুল্লা থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কয়েকটি স্থানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই থেকে আড়াইশ নারী-পুরুষকে আটক করেছে। এ সময় কয়েকটি ট্রলার ও কয়েকটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে চরবক্তাবলী এলাকা থেকে বুড়িগঙ্গা নদী দিয়ে একটি বাল্কহেডে করে ৭০ থেকে ৭৫ জন নারী-পুরুষ কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হলে টহল পুলিশের একটি টিম তাদের আটক করে। পরে আটকদের যেখান থেকে উঠেছিল সেখানেই পৌঁছে দিয়ে বাল্কহেডটি জব্দ করা হয়। এর আগে ১১ ও ১৩ এপ্রিল কয়েকটি ট্রলারে করে বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ পালানোর চেষ্টা করে। তাদের আটক করা হয়েছিল।
ওসি আরও বলেন, একই রাত দেড়টার দিকে পুলিশ গাবতলী টাগারপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি পিকআপ ভ্যানভর্তি অর্ধশত নারী-পুরুষ, মাউড়াপট্টি থেকে চারটি পিকআপ ভ্যান ভর্তি অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ এবং সাইনবোর্ড এলাকা থেকে ট্রাকসহ আরও ৬০ জন নারী পুরুষকে আটক করেছে। যাত্রীরা সবাই কিশোরগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন।
তিনি জানান, আটককৃতরা ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন। আটকের পর তাদের নিজ নিজ বাসায় পৌঁছে দিয়ে পরিবহনগুলো জব্দ করা হয়েছে। তবে লকডাউনের আইন অমান্য করে যাত্রী পরিবহনের অপরাধে পরিবহন চালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এইউ/এসএমএম