চট্টগ্রাম নগরীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের পর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর এবং পুলিশের কাছ থেকে ত্রাণের আশ্বাস পেয়েছেন তিনশ বস্তিবাসী। তবে পুলিশ বলছে, ত্রাণ দেয়ার গুজব ছড়িয়ে বস্তির কয়েক’শ লোককে রাস্তায় জড়ো করা হয়েছিল। ত্রাণ না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা সড়ক অবরোধ করেন।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে নগরীর বহদ্দারহাট থেকে শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়কের দু’টি স্পটে বিক্ষোভ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় চাক্তাই তক্তারপুল ও রাজাখালী বস্তি থেকে প্রায় হাজারখানেক নারী-পুরুষ পৃথকভাবে কল্পলোক আবাসিক এলাকার মুখে পাঁচ নম্বর ব্রিজ এবং রাজাখালী জিরাত ফ্যাশনের সামনে জড়ো হন। তারা এসময় ত্রাণের জন্য স্লোগান দিতে থাকেন। প্রায় একঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। বন্ধ হয়ে যায় ওই সড়ক দিয়ে জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল।
এর মধ্যে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হারুনুর রশিদ ঘটনাস্থলে যান। স্থানীয় সংসদ সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও পুলিশের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রাতে বাসায় বাসায় ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভরতরা রাস্তা ছাড়েন।
ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, দিনমজুর, রিকশাচালকসহ নিম্ন আয়ের লোকজনকে ত্রাণ দেয়া হবে বলে গুজব ছড়িয়ে রাস্তায় এনেছিল। কারা গুজব ছড়িয়েছে, সেটা আমরা দেখছি। আসলে আজ (বুধবার) দুপুরে ত্রাণ দেয়ার কোনো কর্মসূচি ছিল না। আমরা বস্তির তিনশ পরিবারের তালিকা করেছি। উপমন্ত্রী নওফেল স্যার নির্দেশ দিয়েছেন, তিনশ পরিবারে ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার জন্য। রাতে কাউন্সিলর সাহেব ঘরে ঘরে ত্রাণ পাঠিয়ে দেবেন। আমরা সহযোগিতা করব। এর বাইরে আমরাও পুলিশের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করব।
জেডএইচ/এসএমএম