• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২০, ০৮:২৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৭, ২০২০, ০৮:২৫ পিএম

মোংলা বন্দরে আইসোলেশনে ৬ চীনা নাবিক

মোংলা বন্দরে আইসোলেশনে ৬ চীনা নাবিক
সংগৃহীত ছবি

মোংলা বন্দরে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে আগত এমভি ‘চ্যাং হ্যাং জিং হাই’ নামক চীনা পতাকাবাহ একটি জাহাজের ক্যাপ্টেনসহ ৬ চীনা নাবিকের শরীরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) উপসর্গ থাকায় তাদের ওই জাহাজেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

একই সঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে ওই জাহাজের পণ্য খালাসের কাজও। জাহাজটিতে মোট ২০ জন নাবিক রয়েছেন।

এর আগে গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তায় ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লাবোঝাই করে মোংলা বন্দরে খালাসের উদ্দেশে আসা অপর একটি জাহাজের তিন বিদেশি নাবিকের শরীরে কোভিডের উপসর্গ দেখা দেয়। পরবর্তীতে তাদের আইসোলেশনে রাখা হলে তারা ধীরে ধীরে সুস্থ হন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মোংলা পোর্ট হেলথ অফিসার ডা. সুফিয়া খাতুন জানান, বিদেশি ওই ৬ নাবিকের শরীরে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি তাপমাত্রা পাওয়ায় তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাদের চিকিৎসক টিমের পুরোপুরি রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত জাহাজটিতে পণ্য খালাসের অনুমতি দেয়া যাচ্ছে না। 

তিনি জানান, মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) পুনরায় জাহাজের ওই নাবিকদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। তখন যদি অবস্থার উন্নতি না হয় তাহলে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন ও ওই জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মের্সাস সুলতান শিপিংয়ের ব্যবস্থাপক মাহমুদুল হক রাজু গণমাধ্যমকে জানান, ২৪ হাজার মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা ‘মের্সাস চ্যাং হ্যাং জিং হাই’ জাহাজটি রোববার (২৬ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ৩ টায় মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার ৭ নম্বর মুরিং বয়ায় নোঙর করে। এরপরই স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকদের পরীক্ষায় শরীরে স্বাভাবিকের বেশি তাপমাত্রা পাওয়ায় তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়। এ সময় জাহাজটির পণ্য খালাসকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স গ্রিন এন্টারপ্রাইজের শ্রমিক ও কর্মচারীদের জাহাজটিতে পণ্য খালাস না করার জন্য নিষেধ করা হয়।

মাহমুদুল হক রাজু বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকদের রিপোর্ট পাওয়ার পরই জাহাজে পণ্য খালাসের সিদ্ধান্ত হবে। ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লাবোঝাই করে গত ১ এপ্রিল ‘মের্সাস চ্যাং হ্যাং জিং হাই’ জাহাজটি চট্রগ্রাম বন্দরে এসে ৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাস করে। এরপর বাকি কয়লা খালাসের জন্য মোংলা বন্দরে আসে।

এসএমএম

আরও পড়ুন