নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে মারুফা আক্তার (১৪) নামের এক গৃহকর্মীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মাহবুব মোর্শেদ কাঞ্চনকে (৭০) আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ মে) দুপুরে তাকে নেত্রকোনায় আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে সোমবার (১১ মে) বিকালে মারুফা আক্তারের মা আকলিমা আক্তারের দেয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাতেই মোহনগঞ্জ থানায় তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
মাহবুব মোর্শেদ কাঞ্চন বারহাট্রা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি মোহনগঞ্জ পৌর শহরের উত্তর দৌলতপুর হাসপাতাল রোডে নিজস্ব বাসায় থাকতেন।
মারুফা আক্তার বারহাট্রার ওই ভাটিপাড়া গ্রামের আলী আগবরের মেয়ে। সে চেয়ারম্যানের বাসায় দু’বছর ধরে কাজ করছিল।
মোহনগঞ্জ থানা পুলিশ জানান, ৯ মে (শনিবার) বিকেলে ওই চেয়ারম্যান ও কয়েকজন মিলে মারুফাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে মারুফার মা আকলিমার সন্দেহ হচ্ছে। এমনটি লিখে গত সোমবার (১১ মে) বিকালে চেয়ারম্যানসহ অজ্ঞাত কয়েক জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেছেন আকলিমা বাদি হয়ে।
চেয়ারম্যানের পারিবারিক সূত্র বলছে, ৯ মে বিকেলে মারুফা চেয়ারম্যানের মোহনগঞ্জ বাসার পেছনে বড়ুই গাছে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান দৈনিক জাগরণকে জানান, মারুফার মরদেহ ৯ মে রাতে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছিল। মারুফা মৃত্যুর মামলায় চেয়ারম্যানকে আটক করে এরই মধ্যে নেত্রকোনায় আদালতে পাঠানো হয়।
এসএমএম