মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও অতিরিক্ত দামে ডাল বিক্রির দায়ে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটবাউর এলাকার একটি ফার্মেসি, সাটুরিয়া উপজেলার দড়গ্রামের দুইটি দোকানকে জরিমানা এবং ফার্মেসিকে সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল।
শনিবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে সাতটা থেকে মানিকগঞ্জ সদরের ভাটবাউর ও সাটুরিয়া উপজেলার দড়গ্রামে অভিযান চালিয়ে এ দণ্ড দেন তিনি।
আসাদুজ্জামান রুমেল জানান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর মানিকগঞ্জ জেলার মোবাইল নম্বরে শুক্রবার (১৫ মে) এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন তিনি ভাটবাউর এলাকার একটা ফার্মেসি থেকে তার ৩ বছর বয়সী অসুস্থ ছেলের জন্য ওষুধ কিনে বাড়িতে যান। সেবন করাতে গিয়ে তার স্ত্রী দেখেন ওই ওষুধের মেয়াদ শেষ। তারপর তারাই অভিযোগ করেন আমাদের কাছে।
তিনি আরও জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে সকালেই আমরা অভিযুক্ত ওই ফার্মেসিতে যাই। সেখানে দেখা যায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এর ছড়াছড়ি। ফার্মেসির প্রায় ৩০ শতাংশ ওষুধের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৯ সালের পূর্বেই। এমনকি ডিসপ্লেতে পাওয়া যায় ২০১৮, ২০১৭, ২০১৬, ২০১২, ২০১০, ২০০৭ সালের বিপুল সংখ্যক মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ।
ফার্মেসির মালিক নাজিম উদ্দিন নামক এই পল্লী চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে ডা. পরিচয় ও পদবি ব্যবহার করে গ্রামের মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন এবং ওষুধ বিক্রয় করছেন। ৩০ বছর ধরে পরিচালিত এই ফার্মেসিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ২৭ (২) ধারা অনুসারে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে এবং কেন এটা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে না তার লিখিত জবাব প্রদানের জন্য তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠান বন্ধের পাশাপাশি পল্লী চিকিৎসক নাজিম উদ্দিনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সাটুরিয়া উপজেলার দড়গ্রামে অতিরিক্ত দামে ডাল বিক্রির অপরাধে অসীম স্টোর ও কালিদাস স্টোরকে ২০০০ টাকা করে মোট ৪০০০ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নিলুফার ইয়াসমিন ঝর্ণা ও আনসার সদস্যরা।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, নকল, ভেজাল ও ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা রোধে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এসএমএম