• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২১, ০৯:১৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৫, ২০২১, ০৯:১৬ পিএম

দইখাওয়া কলেজের তোরণে ৫০ লেখক

দইখাওয়া কলেজের তোরণে ৫০ লেখক

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া আদর্শ কলেজে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দেশি-বিদেশি লেখকদের বই দিয়ে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। তোরণ দর্শকদের দৃষ্টি কেড়েছে।

বই পড়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দইখাওয়া আদর্শ কলেজের প্রধান ফটকে দেশ-বিদেশের কথাসাহিত্যিক ও লেখকদের ৫০টি বই দিয়ে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। হাতীবান্ধা-চাপারহাট আঞ্চলিক সড়কের পাশেই আদর্শ কলেজটি প্রতিষ্ঠিত। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন দৃষ্টিনন্দন প্রতিষ্ঠান পথচারীদের দৃষ্টিকাড়ে। দর্শকদের আরও আকর্ষণ বাড়াতে এবং বইয়ের প্রতি আগ্রহ ও বই পরিচিতি তুলে ধরতে কলেজের প্রবেশ দ্বারে ৫০টি বই দিয়ে এ তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।

গেটে আসতেই সবারই দৃষ্টিতে পড়বে দেশ-বিদেশের সনামধন্য সাহিত্যিকদের লেখা পছন্দের বইগুলো। শুধু তোরণেই নয়, কলেজের গ্রন্থগারেও দেখা মিলবে এসব বইয়ের। পাঠকরা তোরণে বইয়ের নাম দেখে গ্রন্থগারে গিয়ে পড়তে পারবেন পছন্দের এসব বই। এছাড়াও কলেজের ভিতরে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন এক শহীদ মিনার। শহীদ মিনারটিকেও আগলে ধরে রেখেছে একটি বই। বইয়ের মলাটে রয়েছে বর্ণ। রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প।

কলেজের সৌন্দর্য বাড়াতে চারুকলার নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীরা মিলে কলেজের তহবিল থেকে কিছু টাকা বরাদ্দ নিয়ে দৃষ্টিনন্দন এ তোরণটি নির্মাণ করেছে বলে জানান শিক্ষকরা । টানা এক বছর কাজ করে ৫০টি বই দিয়ে এ তোরণটি নির্মাণ করা হয়। ২৬মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এ তোরণটি উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন। 

কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী মমতাজ সাথী বলেন, “শিক্ষকদের পরিকল্পিত চিন্তাভাবনার কারণে এ ধরনের একটি তোরণ তৈরি হয়েছে। বই হচ্ছে জ্ঞানের ভাণ্ডার, ফটকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তা বোঝানো হয়েছে।”

কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আল-আমিন ইসলাম বলেন, “মূলত শিক্ষার্থীদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে এই তোরণটি তৈরি করা হয়েছে।”

কলেজের অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন বলেন, “স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তোরণটি তৈরি করা হয়েছে। সে কারণে দেশ-বিদেশের কথাসাহিত্যিক ও লেখকদের ৫০টি বই দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এটি নির্মাণ করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে।”