
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে জোয়ারের পানিতে পাঁচটি পয়েন্টে রিং বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খোলপেটুয়া নদীতে জোয়ারের পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে প্লাবনের সৃষ্টি হয়।
আশাশুনি-দয়ারঘাট সড়কের উপর অস্থায়ী রিং বাঁধ পাঁচটি পয়েন্টে ভেঙে দয়ারঘাট, জেলেখালি গ্রামসহ কয়েকটা গ্রাম প্লাবিত হয়।
অপরদিকে প্রতাপনগর হরিষখালি বেড়িবাঁধে পানি প্রবেশ করছে। কুড়িকাউনিয়া,রুইয়ারবিল,শুভদ্রাকাটিসহ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ ভেঙে যেকোন সময় এলাকার শত শত মৎস্য ঘের ও গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। আম্পানে ভেঙে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত ছোট ছোট কয়েকটি পয়েন্ট কয়েক মাস ধরে মেরামত করতে পারেন নি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
এ নিয়ে স্থানীয়দের রয়েছে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও ক্ষোভ। শীতের সময় কাজ হবে করে করে আবার বর্ষা চলে আসছে। কিন্তু বাঁধের দৃশ্যমান কোনো কাজ এখনো দেখা যায়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা এলাকায় আসেননি বা খবর নেননি বলে স্থানীরা অভিযোগ করেছেন।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন বলেন, “এখানে ভাঙবে আমারা আরও আগে থেকে জানতাম। আমি বার বার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের বলেছি কিন্তু তারা বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। গতকালও আমি স্থানীয় লোক জানিয়ে বেড়িবাঁধে কাজ করেছি। আজ অতিরিক্ত জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় পাঁচটি পয়েন্টে রিং বাঁধ ভেঙে আমার ইউনিয়নে কয়েকটা গ্রামে পানি প্রবেশ করছে।”
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসাইন খান বলেন, “বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমিসহ আমার এসিল্যান্ড সেখানে গিয়েছি। বিষয়টি ডিসি স্যারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা বাঁধ আটকানোর কাজ শুরু করেছি।”