• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২১, ১১:২১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৮, ২০২১, ১১:২৮ এএম

তরমুজের ভালো দামে চাষির মুখে হাসি 

তরমুজের ভালো দামে চাষির মুখে হাসি 

ভোলায় তরমুজের ভালো ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় বেজায় খুশি তরমুজচাষিরা। বিভিন্ন চরে এখন চলছে তরমুজ বেচাকেনার ধুম। বেপারিরা মাঠ থেকেই তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। সেই তরমুজ চলে যাচ্ছে বরিশাল, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

বিগত বছরগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এ বছর চাষিরা কম জমিতে তরমুজ আবাদ করেন। যার ফলে চলতি মৌসুমে ৭ হাজার ৭২২ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৫৫৬ হেক্টর জমিতে। তবে আবাদ কম হলেও ফলন ও দাম পেয়েছে খুশি চাষিরা। 

সরেজমিনে বিভিন্ন তরমুজের ক্ষেত ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ক্ষেতে তরমুজ তোলার উৎসব চলছে। গত দুবার করোনাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল হারিয়ে চাষিরা একেবারেই সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছিলেন। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং মাঠজুড়ে তরমুজের ফলন দেখে চাষিদের চোখেমুখে হাসি ফুটেছে। কৃষকরা জানান, এবার তরমুজে তেমন কোনো পোকার আক্রমণ হয়নি। ফলন ভালো হয়েছে তাই তারা দামও পাচ্ছেন ভালো। ড্রাগন ও পাকিজা জাতের তরমুজ চাষ করেছেন তারা। 

এখন কেবল তরমুজ তোলা ও বিক্রির ধুম চলছে। মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বেপারিরা। ভোলার তরমুজ মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় বিভিন্ন জেলায় এ তরমুজের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। বেপারিরা মাঠ থেকে তরমুজ কিনে নৌকায় তুলে নিয়ে যাচ্ছেন বরিশাল। কেউবা সড়কপথে নিয়ে যাচ্ছেন অন্যান্য জেলায়। চরের মধ্যে আঁকাবাঁকা ছোট ছোট খালগুলোতে এখন তরমুজবোঝাই সারি সারি নৌকা। 

 

ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের চর কালেঙ্গার তরমুজচাষি ইউসুফ মাঝি জানান, তিনি ১২ গণ্ডা জমি থেকে ইতোমধ্যেই ৬৫ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। আরো প্রায় এক লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি কথা চলছে। অপর দিকে করিম মাঝি জানান, এক কানি জমিতে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন তিনি। 

গ্রামীণ জন-উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন জানান, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের কৃষি ইউনিটের আওতায় গ্রামীণ জন-উন্নয়ন সংস্থা নিরাপদ ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে বিভিন্ন চরে তরমুজচাষিদের মধ্যে ফেরোমেন ফাঁদ, কালার ফাঁদ, ভার্মি কম্পোস্ট ও জৈববালাইনাশক বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। যার ফলে পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় এ বছর চাষিরা বিষমুক্ত ভালো ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন। 

ভোলা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন জানান, বিগত বছরগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তরমুজ চাষে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চলতি মৌসুমে চাষ কম হয়েছে। তবে ফলন হয়েছে প্রচুর কৃষকরা বাজার দামও ভালো পাচ্ছে। আগামী বছরগুলোতে চাষিরা আরও বেশি জমিতে তরমুজ আবাদ করবে বলে আশাবাদী তিনি।