হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে জাহির আলী হত্যাকাণ্ডের ৮ মাস পর তদন্তে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত বছর ১৫ জুলাই প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের বাবাকে হত্যা করেছে ছেলে ও তার স্বজনরা।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা।
তিনি জানান, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ঘটনা স্বীকার করেছে।
পুলিশ সুপার জানান, স্থানীয় বিজনা নদীর লিজ নিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার বাঁশডর গ্রামবাসী দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় কাচন মিয়া ও ইউপি সদস্য রাজা মিয়া। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় শফিক মিয়া, রয়মান মিয়াসহ কয়েকজন। গত বছরের ১৫ জুলাই সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষের লোকজন। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শফিক মিয়ার পক্ষের লোকজন ৭৫ বছরের বৃদ্ধ জাহির আলীকে ফিকল (বল্লম জাতীয় অস্ত্র) দিয়ে পেটে আঘাত করে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয় নিহতের পুত্র আরশ আলী ও তার কয়েকজন আত্মীয়।
পরদিন, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আরশ আলী বাদী হয় প্রতিপক্ষের ৯২ জনকে আসামি করে মামলা করে। ঘটনার তদন্ত চলাকালে, বাদীপক্ষের লোকজনের কথাবার্তা সন্দেহ দেখা দিলে গত ২২ এপ্রিল বাদীপক্ষের মিসবাহ উদ্দিনকে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য। এরপর, ২৩ এপ্রিল বাদী পক্ষের সামছুল হক ও জিলু মিয়াকে আটক করে পুলিশ।
২৪ এপ্রিল তারা আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে জানায়, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই আরশ আলী আত্মীয়স্বজনদের সহায়তায় জাহির আলীকে হত্যা করে খুনের নাটক সাজিয়েছিলো। এ ঘটনায় ছেলেসহ বাকি ঘাতকরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার।