• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২১, ০৫:২৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৩০, ২০২১, ০৯:০৬ পিএম

তরমুজের দাম লাগামছাড়া

তরমুজের দাম লাগামছাড়া

হঠাৎ করেই বগুড়ায় তরমুজের দাম বেড়ে গেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি তরমুজ ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। ব্যবসায়ীরা যার কাছে যেমন দর পাচ্ছে ইচ্ছে মতো বিক্রি করছে।

জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের রেলগেট, ছাতিয়ানগ্রাম, আদমদীঘি, নশরতপুর ও চাঁপাপুরসহ বেশ কয়েকটি বাজারে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। রোজার শুরুতেও এসব বাজারে তরমুজের দাম স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু রোজা শুরুর পর মাত্র ৮-১০ দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি তরমুজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। প্রচণ্ড রোদ ও পবিত্র রমজান মাসের কারনে এসব ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো তরমুজের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। বাজারে এখন প্রতিকেজি তরমুজ ৫০-৫৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

জানা গেছে, বিক্রেতারা কৃষকের জমি থেকে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে এনে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কেজি দরে বিক্রি করছেন। এতে প্রকৃত চাষিরা দাম কম পেলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা বিপুল অঙ্কের মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এদিকে খুচরা তরমুজ বিক্রেতা আবু হোসেন, আসলাম ও রাঙ্গাসহ বেশ কয়েকজনের অভিযোগ, সিন্ডিকেট করে আড়তেই তরমুজ ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো তরমুজের দাম বাড়িয়েছেন। সরবরাহ থাকলেও সংকটের কথা বলে অড়তদাররা তরমুজের দাম বেশি নিচ্ছেন। তাই আমরাও নিরুপায় হয়ে ক্রেতা সাধারনের কাছে ওজন করে (কেজিতে) তরমুজ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। 

রিকশা চালক আবু তাহের জানান, লকডাউনের কারণে ঠিকমতো গাড়ি চালাতেই পারি না, রাস্তাঘাটে যাত্রীরও অভাব। দিন শেষে যা আয় হচ্ছে, তাতে কোনরকমে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বেঁচে আছি। ছেলেমেয়েরা খেতে চাইলেও এ রোজগারে এত দামে তরমুজ খাওয়ানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রশাসনের যথাযথ নজরদারি না থাকায় এ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য থামছেই না।

কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, গ্রীষ্মের তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। দাবদাহ থেকে সামান্য পরিত্রাণ পেতে তরমুজ পছন্দ করেন। কিন্তু তরমুজের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সীমা শারমিন জানান, তরমুজের ব্যাপারে অভিযানের জন্য নির্দেশনা এলে বাজারগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।