ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী কাড়াকাড়ির সময়ে ক্লিনিক দালাল রহিমের ঘুষিতে হাত ভাঙলো ফাতেমা সুলতানা (২৮) নামে এক নারীর। এঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
শনিবার (১ মে) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ফটকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী ও তার স্বামী নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে এসে অভিযোগ করেন।
আহত ফাতেমা সুলতানা সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের গিরিনগর গ্রামের ইমন হাসান রুবেলের স্ত্রী।
ভুক্তভোগী ফাতেমা সুলতানা সংবাদকর্মীদের জানান, তার দাঁতের ব্যাথার চিকিৎসা নিতে স্বামীসহ শনিবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। এসময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ভবনের সিঁড়ির কাছে ক্লিনিক দালাল রহিম ও বেগম অন্য এক রোগী টানাটানি নিয়ে বাকবিতণ্ডা করছিলেন। তারা দুজন সিঁড়ি দিয়ে ওঠার মুহূর্তে ক্লিনিক দালাল রহিম অপর দালাল বেগমকে ঘুষি মারতে যান। ওই মুহূর্তে বেগম সরে গেলে ঘুসি গিয়ে লাগে ফাতেমা সুলতানার হাতে। তাৎক্ষণিক তাকে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে এক্সরে করা হলে হাড়ে ফাটল দেখা যায়। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা দেয়া হয়।
ফাতেমা সুলতানার স্বামী ইমন হাসান রুবেল বলেন, এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। আমরা উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশে সহযোগিতা চাই। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই। যাতে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে আসা আর কোনো রোগী এ ঘটনার শিকার না হন।
এঘটনায় নবাবগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এসআই আব্দুল জলিল একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. শহীদুল ইসলাম এবিষয়ে বলেন, বিষয়টি জেনেছি। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের প্রতিদিনই মাইকে সতর্ক করা হচ্ছে। দালালদের ধরে পুলিশেও দেয়া হচ্ছে। জেল, মুচলেকা, সাজা দিয়েও রোধ করা যাচ্ছে না। এঘটনায় নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছি।