• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২, ২০২১, ০৩:৩১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২, ২০২১, ০৩:৫৭ পিএম

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তরমুজ বিক্রি

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তরমুজ বিক্রি

মাহে রমজান ও মাত্রারিক্ত গরমের কারণে দেশজুড়ে চাহিদা বেড়েছে রসালো ফল তরমুজের। জনগণের সেই চাহিদাকে পুঁজি করে তরমুজ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে চওড়া দামে বিক্রি করছিলেন তরমুজ। নাটোরে কয়েক দিন ধরে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় ।

তবে নাটোর জেলা প্রশাসনের এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগে সেই তরমুজের প্রতি কেজিতে দাম কমেছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। মধ্যস্বত্বভোগীদের সিন্ডিকেট ভেঙে সরাসরি কৃষকদের মাধ্যমে তরমুজ বিক্রি করে ও ভোক্তা পর্যায়ে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে নাটোরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তরমুজ বিক্রি শুরু হয়েছে। 

রোববার (২ মে) সকালে নাটোর শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে তরমুজ বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুব্রত কুমার সরকার, পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ।

জানা যায়, জেলা প্রশাসনের বিক্রয় কেন্দ্রে আকার ভেদে সর্বনিম্ন ২৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজি দরে কৃষকেরা সরাসরি তরমুজ বিক্রি করেন। 

অপরদিকে জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জেলায় চলতি বছরে ৮৬৮ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে, যা থেকে প্রায় ৩৬ হাজার ৪৫৬ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদনের আশা করছেন তারা। 

তরমুজ কিনতে আসা তমাল হোসেন বলেন, “জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ নেওয়াকে আমি সাধুবাদ জানাই। তার কারণে আজ আমি একটি তরমুজ কিনতে পারলাম, কেজিতে ২৫ টাকা করে কম পেলাম, সব পণ্যের ক্ষেত্রেই এমন উদ্যোগ নেওয়া দরকার।”

জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর জুয়েল আহমেদ জানান, উদ্বোধনী দিনে মোট চার টন ওজনের ৮০০ পিস তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। পাঁচ কেজি পর্যন্ত এক একটি তরমুজ ৩৫ টাকা কেজি দরে এবং পাঁচ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতা চাহিদা বিবেচনায় প্রতিদিনের তরমুজ বিক্রয় প্রয়োজনে বাড়বে।

জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ বলেন, “একে রমজান মাস, তার ওপর আবার প্রচণ্ড গরম পড়েছে। যার ফলে মানুষের পছন্দের ফল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে তরমুজ। কিন্তু তরমুজ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে ছিল সাধারণ ক্রেতারা। অনেকে বাধ্য হয়ে কিনেছেন তরমুজ। অনেকে দাম বেশি হওয়ায় কিনতে পারেননি। তাই আমরা এমন উদ্যোগ নিয়েছি।” 

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, “ক্রেতারা প্রতি কেজি তরমুজে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কমে কিনতে পেরে খুব খুশি হয়েছেন। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”