ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পরিচ্ছন্নতাকর্মী সালাম হত্যার ১৯ বছর পর আসামি বাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ মে) বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার (৩ মে) রাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কমলপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বাচ্চু মিয়া ১৫ বছর যাবত ভৈরবে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তথ্য-প্রযুক্তির সহয়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বিবরণী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের ৮ আগস্ট উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের রাউলেরচর গ্রামের আব্দুস সালাম ও আব্দুল খালেকের মধ্যে নারী কেলেঙ্কারি নিয়ে ঝগড়ার সূত্রপাত হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে আব্দুস সালাম ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জেলেহা খাতুন বাদী হয়ে উপজেলার রাউলেরচর গ্রামের আব্দুল খালেক, জহুরা খাতুন ও গৌরীপুর উপজেলার তেলিহাটি গ্রামের বাচ্চু মিয়াকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ মামলায় ২০১৭ সালের ১ জুন আব্দুল খালেক ও বাচ্চু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আসামি জহুরা খাতুনকে মামলা থেকে অব্যহতি দেন আদালত।
রায় ঘোষণার পর থেকে বাচ্চু মিয়া আত্মগোপনে ছিলেন।