• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৯, ২০২১, ১২:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৯, ২০২১, ০১:১৬ পিএম

জরুরি ফেরিতে ঘরমুখী মানুষের ঢল 

জরুরি ফেরিতে ঘরমুখী মানুষের ঢল 

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে শনিবার (৮ মে) সকাল থেকে কোনো ঘোষণা ছাড়াই ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে ঈদে ঘরমুখী হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েন।

রোববার (৯ মে) সকালে শুধু ইমার্জেন্সি (জরুরি) দুটি ফেরি চালু রেখে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের কথা ছিল। কিন্তু এর সঙ্গে শত শত যাত্রী ও প্রাইভেট কার পারাপার হচ্ছে।

ইমার্জেন্সি ফেরিতে নদী পার হতে মানুষের গাদাগাদি করে পার হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি রয়ে গেছে অগোচরে। এতে সরকারি সব সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত। মানুষ যে যার মতো করে ফেরিতে উঠছে-নামছেও ঠিক একইভাবে। এদিকে গণপরিবহন, লঞ্চ ও ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ অতিরিক্ত কয়েক গুণ ভাড়া দিয়ে ছোট ছোট যানবাহনে ফেরি ঘাটে এসে পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যে নদী পার হতে একরকম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে দিনে ফেরি বন্ধের কারণে শত শত পণ্যবাহী ট্রাকের যানজট তৈরি হয়েছে দৌলতদিয়ার মহাসড়কে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা ও রোদ-গরমে তাদের ভোগান্তি ছাড়িয়েছে চরমে।

সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

ইমার্জেন্সি দুটি ফেরি চালু থাকায় ঈদে শত শত সাধারণ মানুষ এ ফেরিগুলোতে ঘরমুখী হচ্ছেন ঠাসাঠাসি করে। আজ স্থানীয় গণপরিবহনগুলোকেও রাস্তায় তেমন একটা চলাচল করতে দেখা যায়নি। মাহেন্দ্র ,অটো টেম্পো ও প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল এবং মাইক্রোবাসে কয়েক গুণ ভাড়ায় যাত্রীরা তাদের গন্তব্য স্থানে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। শুধু রাতের বেলায় পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুল হক খান মামুন বলেছেন, “বিআইডব্লিউটিসির নির্দেশনা অনুযায়ী আজ দুটি ফেরি চলু রাখা হয়েছে শুধু ইমার্জেন্সিভাবে অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করতে। জনগণকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে স্থান ত্যাগ না করতে।” 

করোনা মহামারির কারণে নিজ নিজ স্থানে থেকে ঈদ করতে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী ফেরি চলাচল সীমিত করা হয়েছে এবং সবাইকে নিজ স্থানে ঈদ করতে অনুরোধ জানান তিনি।