মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের জন্য কয়েকটি ফেরি চালু রয়েছে। তবে অ্যাম্বুলেন্স পার হওয়ার সময় ঘরমুখী যাত্রী ও ছোট গাড়ি ফেরিতে উঠে পড়ছেন। তাই অ্যাম্বুলেন্সের অপেক্ষায় যাত্রীরা। ঘাটে বিজিবি মোতায়েন করেও তাদের আটকানো যাচ্ছে না।
ফেরিঘাটে যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণে তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বারবারিয়া, সিংগাইরের ধল্লা ও শিবালয়ের টেপরা এলাকায় চেক পোস্ট বসিয়ে বিজিবি সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি জেলা পুলিশের একটি টিম কাজ করছে। আর তাতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের। বিজিবি মোতায়েনের ঠিক আগের স্টেশনে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের। ফলে বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে অনেক যাত্রীদের ভ্যান ট্রলিতে যেতে দেখা যায়। ভাড়া বেশি হওয়ায় অনেকে আবার হেঁটেও অন্য স্টেশনে যায়। ভোগান্তিতে পড়া বেশির ভাগ মানুষই নিম্ন আয়ের। যারা গাড়ি চলাচল বা ফেরি পারাপারের বিষয়টি সঠিকভাবে জানতো না।
কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা ঘাটে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করছেন। কারণ ওই যানটি এলেই ফেরি আসে। ফেরিতে অ্যাম্বুলেন্স ওঠার সময় যাত্রীরাও ওঠে পড়েন। এজন্য তারা অ্যাম্বুলেন্স দেখলেই খুশি হন।
এদিকে, রাজবাড়ীতে ঈদে ঘরমুখী মানুষ রাজধানী ছেড়ে পথে পথে ভোগন্তি মাথায় নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় বিকল্প মাধ্যমে ফেরি পার হচ্ছেন। উদ্দেশ্য একটাই বাড়িতে যে কোন ভাবে পৌঁছাতে হবে। তাই পথে নানা বাধা পেড়িয়ে পাটুরিয়া ঘাটে আসেন।
জরুরি চলাচল করা দুটি ফেরিতে যে যেভাবে পারছেন গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য উঠছেন। মুহুর্তেই ভরে যাচ্ছে ফেরি। গাদাগাদি করে করোনাকে পায়ে পিষে ফেরিতে পারাপারে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এতে করোনার মতো মহামারিতে স্বাস্থ্যবিধি বিষয়টি একবারেই উবে গেছে।
সোমবার (১০ মে) সকালে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। সকল ফেরি বন্ধ রয়েছে অথচ ইমারজেন্সি দুটি ফেরি চালু থাকায় ঈদে শত শত সাধারণ মানুষ এই ফেরিগুলোতে ঘরমুখী হচ্ছেন ঠাসাঠাসি করে। তবে স্থানীয় গণপরিবহন গুলোকেও রাস্তায় তেমন একটা চলাচল করতে দেখা যায়নি।
মাইক্রোবাসে, মাহেন্দ্র, অটো টেম্পু ও প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলে কয়েকগুণ ভাড়ায় যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। শুধু রাতের বেলায় পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।
বিআইডব্লিউটিসির এজিএম ফিরুজ শেখ বলছেন, দুটি ইমারজেন্সি ফেরি চালু রাখা হয়েছে। শুধু অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করতে এ দুটি ফেরি চালু রাখা হয়েছে। কিন্তু যাত্রী সাধারণ বিভিন্ন মাধ্যমে ঘাটে এসে ফেরিতে উঠে পারাপার হচ্ছেন।