মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়াঘাট থেকে যমুনা ফেরিতে ছয় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে পার হয়েছেন দক্ষিণবঙ্গের ঘরমুখী তিন হাজার যাত্রী।

সোমবার (১০ মে) সকাল ১০টার দিকে দুটি ফেরি ছেড়ে যায়। রোববার (৯ মে) রাত থেকে আজ ভোর পর্যন্ত ৩৪টি ফেরিতে পণ্যবোঝাই যানবাহন পারাপার করা হয়েছে।

এদিকে, ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকার পরও শিমুলিয়াঘাটে দক্ষিণবঙ্গের ঘরমুখো যাত্রী ঢল অব্যাহত রয়েছে। হাজার হাজার যাত্রী এখনও শিমুলিয়াঘাট এলাকায় পারের অপেক্ষায় রয়েছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসির) শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানিয়েছেন, সোমবার সকাল ১০টার দিকে ছয়টি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে শিমুলিয়াঘাট ছেড়ে যায় ফেরি যমুনা। ফেরিতে অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে যাত্রী সাধারণও নৌরুট পার হচ্ছেন। শুধু মাত্র অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের জন্যই ফেরি যমুনা ছাড়া হয়েছিল। এই ফেরির সঙ্গে তিন হাজার যাত্রী পার হয়েছেন।

মুন্সীগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল রায়হান বলেন, “শিমুলিয়াঘাট এলাকায় পারের অপেক্ষায় রয়েছে ৫ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।”

পুলিশ সুপার নাজমুল রায়হান বলেন, “প্রাইভেটকার ও মাইক্রোসহ যাত্রীবাহী কোনো যানবাহন ঘাট এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যাত্রীবাহী যানবাহন শিমুলিয়া মোড়ের চেকপোস্টে থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হলেও তা উপেক্ষা করে ঘাটে যাত্রীদের চাপ বেড়ে চলছে।”

এদিকে, ফেরির অপেক্ষায় রোদে পুরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দক্ষিণবঙ্গগামী হাজারো যাত্রী। তবে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।