ভারতীয় উপকূলের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। বুধবার (২৬ মে) দুপুরের আগেই এটি ওড়িশায় আঘাত হানতে পারে। এদিকে ইয়াসের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। বইছে জড়ো বাতাস।
বুধবার ভোর থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় ঝোড়ো বাতাসসহ থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। নদ-নদীর পানি গাবুরা ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানের বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে।। উপকূলীয় মানুষের মধ্যে জলোচ্ছ্বাসের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাতে জোয়ারে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন এবং আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কয়েকটি স্থান দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ উপচে নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকছে। ভাটার সময়ও সুন্দরবনসংলগ্ন নদ-নদী উত্তাল রয়েছে। বইছে দমকা বাতাস।
এদিকে বন বিভাগ ও কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে নৌযান প্রস্তুত রাখা হয়েছে উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ বিতরণে জন্য। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আটটি টহলফাঁড়ির সদস্যদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের শ্যামনগরের শাখা কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, সিংহড়তলী এলাকায় গতকাল রাতে ২১০ জন গ্রামবাসী একত্রে কাজ করে লোকালয়ে পানি ঢোকা বন্ধ করেছেন। আজ সকাল থেকে তাদের আবার দুর্বল বাঁধে মাটি দেওয়ার কথা রয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল হক জানান, গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, মুন্সিগঞ্জ, কৈখালী, রমজাননগর, কাশিমাড়ি ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের ৪৩টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব স্থানে মাটি দিয়ে বাঁধ মজবুত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।