কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় বিয়ের দুই দিনের মাথায় স্বামীর সহযোগিতায় এক নববধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই বাদী হয়ে কচাকাটা থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্ত আব্দুল হাকিমকে গ্রেপ্তার করে। অবশ্য পলাতক আছেন মূল অভিযুক্ত আব্দুল হাকিমের ভগ্নিপতি বাবু মিয়া।

মঙ্গলবার (২৫ মে) উপজেলার কেদার ইউনিয়নের সরকারটারী গ্রামে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। ওই নববধূকে বর্তমানে কচাকাটা থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী নববধূর ভাই জানান, ২৩ মে কেদার ইউনিয়নের শিপেরহাট গ্রামের লাল দেওয়ানীর ছেলে আব্দুল হাকিমের সঙ্গে তার বোনের বিয়ে হয়। মঙ্গলবার (২৫ মে)  সকাল ১১টার দিকে নববধূ, তার স্বামী ও স্বামীর ভগ্নিপতি বাবু মিয়া বাড়ির পাশে এক চাচার বাড়িতে বেড়াতে যান। এ সময় ওই বাড়ি ফাঁকা পেয়ে স্বামী হাকিমের সহযোগিতায় ওই নববধূকে ধর্ষণ করেন বাবু মিয়া।

পরে ভুক্তভোগী নববধূ ঘটনাটি তার পরিবারের কাছে প্রকাশ করলে নববধূর বড় ভাই বুধবার (২৬ মে) সকালে কচাকাটা থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ ওই নববধূকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নেয় এবং তার স্বামী আব্দুল হাকিমকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে স্বামী আব্দুল হাকিমের সহযোগিতায় নববধূকে ধর্ষণ করেন বাবু মিয়া। ঘটনার পর থেকে বাবু মিয়া পলাতক।

পুলিশ আরও জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী আব্দুল হাকিম তার স্ত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার কথা স্বীকার করলেও এ ব্যাপারে নিজের সহযোগিতার কথা অস্বীকার করেছেন। 

ওসি মাহাবুব আলম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত বাবু মিয়াকে গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা চলছে।