ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে নদ-নদীর অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ২০টি গ্রাম। উপজেলার ৯৪ কিলোমিটার বাঁধের বেশির ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত ছিল আগে থেকেই। কিন্তু ইয়াসের প্রভাবে পানির চাপে ভেঙে গেছে বাকি বেড়িবাঁধগুলোও। এতে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার কচা ও বলেশ্বর নদ-তীরবর্তী প্রায় ২০ গ্রাম।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, টগরা, চারাখালী আবাসন, পাড়েরহাট আবাসন, কলারন জাপানি ব্যারাক, কালাইয়া, উত্তর কলারণ, পূর্ব চর বলেশ্বর, পূর্ব চন্ডিপুর, বালিপাড়া, খোলপটুয়া ও সাউদখালী গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধের অধিকাংশ স্থানই ভাঙা রয়েছে। ভাঙা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। পানিতে প্লাবিত হওয়ায় বিভিন্ন গ্রামের পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছে শত শত মাছ চাষি। এদিকে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে উপজেলার চন্ডিপুর হাট পাড়েরহাট বাজার এলাকা।
ইন্দুরকানি উপজেলার টগরা গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামান শাওন তালুকদার এ প্রতিবেদককে জানান, কচা নদী-তীরবর্তী টগরা গ্রামের প্রায় সাড়ে ৩০০ পরিবার রয়েছে। ইয়াসের প্রভাবে কচা নদীর অতিরিক্ত পানির চাপে এখানকার সব বাসিন্দাদের ঘর বাড়িতে পানি ওঠায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে স্থানীয় সব বাসিন্দারা।
জেলার ইন্দুরকানি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ বলেন, “জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আমরা আগে থেকেই ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি। উপজেলায় ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং প্রতি ইউনিয়নে ১টি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। গতকালই ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনা খাবার পাঠানো হয়। এখানে স্বেচ্ছাসেবক, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং মেডিকেল টিমসহ উপজেলা প্রশাসন সার্বিকভাবে কাজ করছে।”